গ্রামীণ পর্যটনে অনেক প্রশান্তি মিলে
Tweet
গ্রামীন জনপদে বেড়ানো মজাই অন্য রকম। যান্ত্রিক কোলাহল মুক্ত শান্ত সবুজ গ্রামের বাতাসে এক ভিন্ন প্রশান্তি। নিমিষে ক্লান্তি মাড়িয়ে আপনি বাংলাদেশের গ্রামীন জনপদে বেড়াতে রযতে পারেন ! প্রকৃতির সবুজ ছোয়ায় আপনার মন অত্যন্ত সতেজ হবে। সেখানকার মানুষ এবং প্রকৃতি আরও বেশি ভাল থাকতে সাহায্য করবে আপনাকে। পৃথিবী আবার করোনার মাধ্যমে শিক্ষা দিলো, এই সুখ শান্তির পৃথিবী একবার রাগ করলে কতটা ভয়ানক হতে পারে। তাই ছলুন দেখি একটু ধৈর্য ধরে করোনাকালটা পার করি। তারপর না হয় ঘুরে আসবো কোন এক গ্রামের নিরব প্রকৃতিতে।
গ্রামের মানুষ, ক্ষমতা বোঝে না। সহজ সরল প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে,আমরা জানি জীবন কিভাবে উদযাপন করতে হয়। আমরা জানি এর চেয়ে সর্বাধিক ও কিভাবে পেতে হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের জীবনযাত্রার মানুষ দেখা যায় – শহুরে, গ্রাম্য এবং উপজাতীয়।
গ্রাম্য জীবনের চেয়ে শহুরে জীবন একটি ভিন্ন ধারা অনুসরণ করে কংক্রিটের মাঝে। গ্রাম্য জীবনের সাথে প্রকৃতির একটু বেশিই শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। এবং সেই উন্মাদনার ভীড় থেকে দূরে সেখানে কিছু উপজাতীয় জীবনধারা দেখা যায় যা অনন্য এবং প্রানবন্ততা তাদের নিজেদেএ বৈশিষ্ট্য। যদি আপনি নিঃশর্তে এই আনন্দ উপভোগ করতে চান তাহলে চলে যান আমাদের এই গ্রাম্য পরিবেশ ঘুরে দেখতে।
জীবনযাত্রা সর্বদা আদিম্য আছে এবং এতে কোন জটিলতা নাই। আমাদের গ্রামঞ্চলের মানুষ প্রকৃতির সাহায্যে জীবনযাপন করে। বিনিময়ে তারা প্রকৃতির যত্ন নেয়।
সমগ্র বিশ্বে এটি একটা স্বর্গীয় বিনিময়। এ কারণে সেখানে আদিম জীবনযাত্রা খুজে পাওয়া যায়। গ্রামের লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের কৃত্রিম সরঞ্জাম ব্যবহার করে। তারা ভারী যন্ত্রপাতির পরিবর্তে কায়িক শ্রম প্রাধান্য দেয়। যে কারণে আপনি দেখলে অবাক হবেন যে তারা তাদের প্রিয় জমি ষাড়ের সাহায্যে লাঙল দিচ্ছে। অথবা আপনি আর ও দেখতে পাবেন মহিলারা চেরা লাকড়ি দিয়ে চুলা জ্বালিয়ে খাবার রান্না করছে। গ্রামের বাচ্চারা তাদের জীবনের বেশির ভাগ সময় ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি, গোল্লাছুট, কানামাছি, দাড়িয়া বান্ধা এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলা খেলে জীবন অতিবাহিত করে।
আপনি তাদের সাথে যোগ দিতে পারেন। যখন বৃষ্টিতে খেলবেন কাদার ছিটে আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিবে যে আপনি প্রকৃতির কতটা কাছে রয়েছেন। তার মাঝে কিছু বাচ্চা আছে যারা গাছে চড়তে দক্ষ।তাদের কাছে আপনি তাৎক্ষণিক গাছ থেকে পাড়া তাজা রসালো ফল পেতে পারেন। গাছের উপর থেকে নদী বা পুকুরে ঝাপ দিতে পারেন। প্রচন্ড রোদের মাঝে নদীতে সাঁতার কাটতে পারেন। পরিষ্কার ও ঠান্ডা পানি আপনাকে উদাসীনতা থেকে মুক্তি দিবে।
ঐতিহ্যবাহী গ্রামের বাড়িরে উঠোনে শান্ত সন্ধায় শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবেন যেখান চাদ ও তারাগুলি নিখুত আলো দেয়। সেখানে আপনি জীবনের প্রকৃত মানে খুজে পাবেন।
আপনি সবচেয়ে বেশি যেটা উপভোগ করবেন এবং আপনার ছুটিতে অন্য স্বাদ এনে দিবে তা হলো বাংলাদেশের মানুষের আথিতেয়তা। গ্রামীণ জনপদের মানুষ অতিথিদের পরিবারের সদস্যের মতন আচরণ করে। তাদের হাসিগুলো তাদের সুন্দরতম জীবনে বেঁচে থাকার এবং এই সুন্দর ভূমিতে ফিরে আসার আশা দেয়। আপনি কখনোই বিরক্ত হবেন না। আপনি কখনো জীবনের প্রকৃত অর্থ বুঝতে ব্যর্থ হবেন না।
এটি আজীবনের অভিজ্ঞতা। যখন আপনি আপনার নিজ গন্তব্যে ফিরে যাবেন এই স্মৃতিগুলো আপনার আত্মাকে প্রানবন্ত রাখবে। শুধু গ্রাম্য পরিবেশ পরিদর্শন করতে বেরিয়ে পড়ুন। দেখবেন তারা সকলকে পরিবারের মতই আচরণ করবে। প্রয়োজনে আপনার পরিচিত ট্যুর অপারেটর সাথে যোগাযোগ করুন।তারা একটি সুবিধাজনক পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনার ভ্রমনের যত্ন নিবে। গ্রামে অনেক সহজলভ্য ভ্রমণ পরিকল্পনা রয়েছে যা আপনাকে গ্রামীন জীবনের বিস্তারিত অভিজ্ঞতা দেবে।
লেখিকা রাখি বিশ্বাস, ছাত্রী