১৭টি প্রস্তাবনা নিয়ে জুম মিটিং সম্মিলিত পর্যটন জোট-বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড
Tweet
আজ ২৯ এপ্রিল ২০২০ খ্রি:, বুধবার সম্মিলিত পর্যটন জোটের সাথে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রথম জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জাবেদ আহমেদ জোটের আহবায়ক কর্তৃক উত্থাপিত ১৭ (সতেরো) টি প্রস্তাবনার সরাসরি উত্তর দেন। তিনি উত্তরে এই সুচিন্তিত প্রস্তাবসমূহকে বাংলাদেশের পর্যটনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে এদের বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। কারণ তিনি মনে করেন যে, পর্যটন বাংলাদেশের ‘গ্রোথ ইঞ্জিন’ এবং এটি আমাদের ৩য় ক্যাটাগরির আয়ের মাধ্যম। তিনি বলেন, এই শিল্পে ইতোমধ্যে প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় সাধারণ মানুষ এমনকি নীতি নির্ধারক মহলও যথাযথভাবে অবগত নন। তাই মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ব্যাপকভাবে প্রচারণা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান। সম্মিলিত পর্যটন জোটের এই মিটিংয়ে যোগ দিয়ে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন বলে উল্লেখ করে জোটের স্কলার্স উইংয়ের সদস্যগণের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি পর্যটনের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরকে পর্যটনের উন্নয়নে নানাভাবে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের পর্যটন এখন টেক-অফ পিরিয়ডে আছে। তাই এখনি সময় এর জন্য ভালো কিছু করার।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, পরিচালক (বিপণন, পরিকল্পনা ও জনসংযোগ), বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। তিনি তাঁর বক্তব্যে জোটের শুভকামনা করে আগাম ঘোষণা দেন যে, খুব শিঘ্রই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড একটি পূর্ণ ওয়েবসাইট আপ করতে যাচ্ছে। প্রফেসর মো. আবদুল হামিদ জুম মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয়বস্তু ও আলোচনার ব্যাপক প্রশংসা করে বক্তব্য উপস্থান করেন। সবশেষে জোটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সম্মিলিত পর্যটন জোটের আহবায়ক মোখলেছুর রহমান। উত্থাপিত ১৭ (সতেরো)টি প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের মাইক্রো-ডেসটিনেশনগুলির ধারণ ক্ষমতা নির্ণয়, পর্যটনসম্পদ শুমারি পরিচালনা, পর্যটন গ্রাম স্থাপন, পর্যটন প্রশিক্ষণ পলিসি তৈরি করা, জাতীয় পর্যটন গবেষণা সিস্টেম প্রবর্তন, ৬৪টি জেলায় ট্যুরিজম বোর্ডের অফিস স্থাপন, ট্যুরিজম বোর্ডে ২৪ ঘন্টা হেল্প ডেস্ক ও সমন্বয় শাখা চালু, ট্যুরিজম স্যাটেলাইট একাউন্টিং সিস্টেম প্রবর্তন, বঙ্গবন্ধু পর্যটন পদক ও জাতীয় পর্যটন ট্রফি প্রবর্তন, প্রান্তিক পর্যটনকর্মীদের জন্য আপদকালীন তহবিল গঠন, পর্যটন রপ্তানির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণসহ পর্যটনের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ, ট্যুরিজম আইকন নির্ধারণ, নিশ প্রডাক্ট হিসেবে জলাভূমি পর্যটনের নীতিমালা প্রণয়ন, এবং সর্বোপরি ধর্মীয় পর্যটনের আওতায় বিশ্ব ইজতেমা, বুদ্ধিস্ট সার্কিট ট্যুরিজম এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সীতাপিঠ ও অন্যান্য আকর্ষণগুলিকে গড়ে তোলা।
উল্লেখ্য যে, জোটের স্কলার্স উইংয়ের মধ্য থেকে জুম মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো. এনায়েত হোসেন, চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন, চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া; প্রফেসর মো. আবদুল হামিদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; মইনুল হাসান, সহকারী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়; মোহাম্মদ রকিবুল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, প্রিমিয়ার ইউনির্ভাসিটি, চট্টগ্রাম; মোহাম্মদ নোমান আহমেদ, প্রিন্সিপাল, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্সোন্যাল ম্যানেজমেন্ট, ময়মনসিংহ এবং মোহাম্মদ নাসিমুল ইসলাম নাসিম, নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট, ঢাকা, নাসির মজুমদার উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যাক্সপ্লোরারর্স অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া সম্মিলিত পর্যটন জোটের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা জুম আলোচনায় অংশ নেয়।