অবমুক্ত হলো টাঙ্গুয়ার হাওরের তথ্যচিত্র
Tweet
গতকাল ২১ মে ২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার সম্মিলিত পর্যটন জোটের উদ্যোগে টাঙ্গুয়ার হাওরে গ্রামভিত্তিক সমন্বিত পর্যটন নিয়ে তথ্যচিত্র Daahuk: A Pursuit of Sustainable Tourism দর্শকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মজিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব ও আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-এর প্রত্নতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. শাহনাজ হুসনে জাহান। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. এনায়েত হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর্যটন বিশেষজ্ঞ, অরুণাচল বাজ্য সরকারের গ্রাম পর্যটনের পরামর্শক ও পর্যটন গান্ধি বলে খ্যাত রাজ বসু প্রমুখ। শুরুতে ১৩ মিনিট দীর্ঘ এই ডকুফিল্মটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সম্মিলিত পর্যটন জোটের আহবায়ক ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পর্যটন জোটের ১ম যুগ্ম-আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সাগর, কিশোর রায়হান ও জয়িতা শেখ, ছবির পরিচালক জিয়াউস্ শামস, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র দাস, ময়মনসিংহের আইসিটি ব্যক্তিত্ব মোখলেছুর রহমান মামুন, চলচিত্র নির্মাতা স্বরুপ আনন্দ এবং ডাহুক-এর সমন্বয়কারী রেজা শাওন।
বক্তাগণ টাঙ্গুয়ার হাওরকে ইউনোস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ডসিয়ার তৈরি, সে মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং বার্ষিকভিত্তিতে পর্যটন চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রতি অনুরোধ জানান। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়াও টাঙ্গুয়ার হাওরাঞ্চলে একটি জীবন্ত জাদুঘর স্থাপন ও পর্যটন নৌকাগুলিকে শীতকালে আইসিটি শিক্ষাদানের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। হাওরে কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটনের অনুশীলনের মধ্য দিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরাঞ্চলের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মডেল তৈরির জন্য গবেষক ও বাস্তবায়নকারীদের প্রতি আহবান জানানো হয়। অধিকন্তু এই অঞ্চলের চারু ও কারুশিল্পের অনুসন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলেই এগিয়ে আসবেন বলে বক্তাগণ আশা করেন।