আম্পান বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে
Tweet
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার পর স্থলভাগে তাণ্ডব চালাতে চালাতে অগ্রসর হচ্ছে কলকাতার দিকে, এর বিস্তার প্রবেশ করেছে বাংলাদেশেও। আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, “ঘূর্ণিঝড় আম্পান বিকাল ৫টার দিকে উপকূলের বাংলাদেশ অংশে পৌঁছেছে। ভারতের সাগারদ্বীপের পাশ দিয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভূভাগে উঠে আসছে।”
বাংলাদেশের উপকুলের দিকে ধেয়ে আসা সুপার সাইক্লোন ঘুর্ণিঝড় ‘আম্পান’এর কারণে উপক‚লীয় অঞ্চলের প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘ‚র্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় সরকারের সবশেষে প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ঘ‚র্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপক‚লের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় এ পর্যন্ত ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ জন মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া ৫ লাখ ১৭ হাজার ৪৩২টি গবাদিপশুকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে।’ ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘ‚র্ণিঝড়ে যাতে একটি মানুষকেও যেন ঝুঁকিপ‚র্ণ অবস্থানে ছেড়ে না আসা হয়- আমরা সেই নির্দেশ দিয়েছি। লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৮টি থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ৩৩৬টি করা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ জনকে নেওয়া হয়েছে। সামাজিক দ‚রত্ব নিশ্চিত করার প্রয়োজন না হলে ১৪ হাজার ৩৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৭ লাখ ১৩ হাজার ৬০৭ জন মানুষকে রাখা সম্ভব হতো। দ‚রত্ব নিশ্চিত করতে অর্ধেক লোক রাখা হয়েছে।
ওষুধসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তাদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে।
ভাষাণচরের ১২০টি শেল্টারের মধ্যে একটিতে কিছু মানুষকে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের তদারকিতে নৌবাহিনী রয়েছে, তাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘ‚র্ণিঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।