এশিয়ার পরবর্তী হটস্পট বাংলাদেশ!
Tweet
করোনা ভাইরাসের আবির্ভাবের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই ভারত পাকিস্তান ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে ‘এশিয়ার হটস্পটে’ পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। জনতত্ত্ব-ঘনবসতি ও আক্রান্তের হার হিসাবে সংক্রমণের এ সূচক ভয়ঙ্করভাবেই স্পষ্ট।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতিতে সপ্তাহখানেক আগেও এশিয়ার হটস্পট ছিল পাকিস্তান। গত কয়েকদিনে পাকিস্তাকে টপকে এক লাফে শীর্ষে উঠে যায় ভারত। আর এখন প্রতিবেশী সবাইকে পেছনে ফেলে সামনে বাংলাদেশ। এশিয়ার টাইম বোম।
দক্ষিণ এশিয়ার আতঙ্ক। ‘করোনা আঘাতের শুরুতে’ ফ্রান্স-স্পেন-ইতালিও এমনই ছিল- ইউরোপের আতঙ্ক । একই হাল ছিল যুক্তরাষ্ট্রেরও।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চে। তারপর থেকে প্রতিদিনই আক্রান্তের নতুন রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ। ধীরে ধীরে এশিয়ার পরবর্তী হটস্পটে পরিণত হচ্ছে। করোনা শনাক্তের দুই মাস পর সেই চিত্র আরও পরিষ্কার হচ্ছে।
সোমবার দেশে প্রথমবারের মতো করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হাজার (১,০৩৪ জন) ছাড়িয়েছে। এই হিসাবেও এশিয়ার অন্যান্য দেশ ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুরের চেয়ে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম। গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেন ও রোমানিয়াকে পেছনে ফেলে সংক্রমণে এখন এশিয়ায় দশম অবস্থানে বাংলাদেশ।
আক্রান্তের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের পেছনে থাকলেও সংক্রমণ হারে এশিয়ার অর্ধশতাধিক দেশের শীর্ষে এখন বাংলাদেশ।
ভারতে সোমবার পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৮ জনের। তাদের মধ্যে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৭ হাজার ২৫৯ জন। সংক্রমণের (করোনা পজিটিভ) হার ৪ দশমিক শূন্য এক শতাংশ।
পাকিস্তানে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৪ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৩০ হাজার ৯৪১ জনের।
সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত এক লাখ ২৯ হাজার ৮৬৫ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৯১ জন। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।