করোনায় আরও তিন বাংলাদেশির মৃত্যু
Tweet
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আরো তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির ৬ রাজ্যে ৪৯ দিনে অন্তত ২৩৭ জন অভিবাসী বাংলাদেশি মারা গেলেন।
নিহতরা হলেন আবদুল হাফিজ দুদু মিয়া (৭৫), মো. মাহবুবুল হক (৭০) ও নজরুল ইসলাম (৫০)। এ নিয়ে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৫ মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৩৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।
এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যটিতে মারা গেছে ২১৭ জন।
এছাড়া নিউজার্সিতে ৮, মিশিগানে ৬, ভার্জিনিয়ায় ৩, মেরিল্যান্ডে ২ ও ম্যাসাচুসেটসে একজন বাংলাদেশি করোনায় মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি মারা গেছেন যুক্তরাজ্যে। সেখানে কমপক্ষে দেড়শ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, মনে হচ্ছে নিউইয়র্কের পেছনে ছুরি চালানোটা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপভোগ করছেন। ট্রাম্পকে সাবেক নিউইয়র্কার উল্লেখ করে ৫ মে তিনি বলেন, লোকজনের দুর্ভোগ উপভোগ করে কোন ধরনের মানুষ? ট্রাম্প দেখছেন লোকজন দুর্ভোগে আছে, তারপরও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নিউইয়র্কের লোক যেন সাহায্য না পায়।
এদিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আরও তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন আবদুল হাফিজ দুদু মিয়া (৭৫), মো. মাহবুবুল হক (৭০) ও নজরুল ইসলাম (৫০)। এ নিয়ে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ৫ মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৩৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।
মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেন, মার্চ মাসে শুরু হওয়া দুর্যোগের পর নিউইয়র্ক নগরীতে এখন পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর মজুত রয়েছে। নগরীর সর্বত্র মাস্ক ও ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী নাগরিকদের কাছে বিলি করা হচ্ছে। নিউইয়র্ক নগরীতেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে এর মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৫ মে নগরীতে ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে সরাসরি সংক্রমিত এবং ভাইরাসে সংক্রমিত সন্দেহে সম্ভাব্য মিলে নগরীতে ১৯ হজার ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য নয়, কেবল নিউইয়র্ক নগরীতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭১ হাজার ৭২৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
নিউইয়র্কের ৯ লাখ কর্মজীবী জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই কর্মহীন হয়ে পড়বেন। লকডাউনে থাকা নিউইয়র্ক ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ারও পরিকল্পনা চলছে। ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত বন্ধ রয়েছে। নিউইয়র্ক কম্পট্রোলার অফিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কের কর্মজীবীদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের একজন কাজ হারাবেন। কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রিঙ্গার বলেছেন, মহামারি শুরু হওয়ার আগে নিউইয়র্কে কর্মহীনের সংখ্যা ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এর আগে মহা দুর্দিনেও নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ কর্মহীন লোকের সংখ্যা ছিল ১০ দশমিক ১ শতাংশ। এবার তা ২২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।