নতুন করে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০৯ জন। বর্তমানে এ ভাইরাসে মোট আক্রান্ত ১৩ হাজার ১৩৪ জন।
এদিকে সুস্থ হয়েছেন ১৯১ জন। এ পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১০১ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে এ রোগে ২০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
গতকালের চেয়ে আজ আক্রান্ত ৩ জন বেশি। গতকাল আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭০৬ জন।
ডা.নাসিমা সুলতানা জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ৭০৭টি। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল ৬ হাজার ৩৮২টি। নমুনা সংগ্রহ আগের দিনের তুলনায় ৬৭৫টি কম। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৩৫টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ হাজার ৯৪১টি। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৫ হাজার ৮৬৭টি। গতকালের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা ৭৪টি বেশি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৫৪টি।
তিনি বলেন, মৃত্যুবরণকারী ৭ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। তাদের মধ্যে ১ জনের বয়স ৯০ বছরের বেশি, ২ জনের ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ২ জনের ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে এবং ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ২ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নুমনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ৭০৭ টি। তবে পরীক্ষার সংখ্যা বলার সময় জানান ৩৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ৯৪১টি। নতুন যোগ হওয়া ল্যাবের তালিকায় নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, নতুন করে আইসোলেশনে রয়েছেন ১০৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৪০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন এক হাজার ৮৭৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৯৯০ জন। সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৮ হাজার ৫৯৪টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ২ হাজার ৯০০ এবং ঢাকা সিটির বাইরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে ৫ হাজার ৬৯৪টি। এসব হাসপাতালে আইসিইউ রয়েছে ৩২৯টি আর ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১০২টি।
তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬১৯ জন নতুন করে কোয়ারেন্টিনে আছেন। আর কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৬ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে আছেন ২ লাখ ৬ হাজার ৬৫০ জন এবং ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজর ৫০৪ জন। বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯ হাজার ১৪৬ জন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ৭ মে পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া রোগীদের সংখ্যা বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে আছেন ৮৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এরপর রয়েছে চট্টগ্রামে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ১ দশমিক ৬ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং বরিশাল বিভাগে ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
তিনি জানান, ঢাকা সিটিতে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে রাজারবাগে। এরপর যথাক্রমে কাকরাইল, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, তেজগাঁও, মালিবাগ এবং পুরান ঢাকার বাবুবাজারে সর্বাধিক থেকে সর্বনিম্ন রোগী পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় ২০০ থেকে শুরু হয়ে রোগীর সংখ্যা শেষ হয়েছে ৭৩ জনে।’
করোনা আক্রান্ত নতুন করে ৭০৯, সুস্থ হয়েছেন ১৯১ জন
Tweet