খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চালাতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী
Tweet
করোনা পরবর্তী দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে সারাদেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে বোরো ধান সংগ্রহের কার্যক্রম চালাতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আজ সোমবার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রংপুর বিভাগের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, করোনা পরবর্তী দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি আবাদযোগ্য জমিতে ফসলের আবাদ করতে হবে। কোন জমিই অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে, যা করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশওা মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। করোনা পরবর্তী খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরের সাথে মিলেমিশে, ভালো আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিত্য-নতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি; তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্যেও আমাদেরকে এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম যুক্ত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসকরা, রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য রাখেন।