ঘূর্ণিঝড় আম্পানে নিহত ১০ ও আহত অর্ধ শতাধিকের খবর, এক কোটির বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন
Tweet
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর আঘাতে উপকূলীয় জেলায় অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ও অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্টোল রুমের সহকারি পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর আঘাতে হতাহতের এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, আম্পানের কারণে দেশের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তরের ২৫ জেলার ১ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক ঝড়ের আগেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এসব জেলার বেশির ভাগ স্থানে ঝড় শুরু হওয়ার ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো। আর ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় এসব স্থানে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে না। এখন সারা দেশে এক কোটির বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।
আর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবী সৈয়দ শাহ আলম (৫৪), গলাচিপার পানপট্টির রাশেদ (৫), ভোলার চরকচ্ছারিয়ার মো. সিদ্দিক, রোবরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলাম (৩৫), পিরোজপুর মঠবাড়িয়ার দাউদখালি উপজেলার শাহাজান মোল্লা (৫৫), চট্টগ্রামের স্বনদ্বীপের ২ নং পৌরসভার সালাউদ্দিন (১৬)। এছাড়াও অজ্ঞাত নিহতদের তালিকায় কমলনগরের ১ জন, যশোরের চৌগাছায় ২ জন এবং ঝিনাইদহে ১ জন রয়েছে।
নিহতরা নৌকা ও ট্রলার ডুবি, গাছ চাপা পড়ে, দেয়াল চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবে মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে বরিশালের হিজলা, পটুয়াখালীর গলাচিপা ও ভোলার চরফ্যাশনের একজন করে। এদিকে ‘আম্পান’ এখন স্থল নিম্নচাপের রূপ নিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছে। দেশের সমুদ্র বন্ধরগুলোকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অতি প্রবল ঘ‚র্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসার পর গত বুধবার সকালে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছিল বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস।