পর্যটন খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি প্রায় ৪০ লক্ষ পর্যটনকর্মীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে বোর্ডঃ জাবেদ আহমেদ
Tweet
করোনায় আক্রান্ত গোটা দেশ। দেশের পর্যটন শিল্প হয়ে পরেছে স্থবির। এর মধ্যেই পর্যটন সংশ্লিষ্টদের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণ চালু করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।
ইতোমধ্যে কুয়াকাটার ট্যুর অপারেটর এবং সিলেট বিভাগের ট্যুর গাইডদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে একদিকে যেমন পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে অপরদিকে বর্তমানে কর্মহীন ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডগণ আর্থিক সহায়তা পাবেন। পর্যটন কর্মীদের এই দুঃসময়ে এমন একটি কর্মসুচী নেয়ায় ভীষন খুশি অংশগ্রহণকারীরা ।
আজ ২৪ মে, ২০২০ রবিবার বেলা ২.০০ ঘটিকায় ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর সদস্যদের করোনা সংকট থেকে উত্তরণ ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত ২ দিনব্যাপি অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এই কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালেয়র মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মো: মাহবুব আলী এমপি। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জনাব জাবেদ আহমেদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপিস্থত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের ও ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর সভাপতি জনাব রাফিউজ্জামান । কর্মশালায় সম্পৃক্ত ছিলেন, ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনাব বোরহান উদ্দিন, মো: মাজহারুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অন্যন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
উক্ত কর্মশালায় আলোচক হিসেবেন অংশগ্রহণ করেন, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর প্রেসিডেন্ট জনাব রাফিউজ্জামান, এবং পরিচালক (অর্থ) জনাব মনিরুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জাবেদ আহমেদ, পরিচালক জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, উপ-পরিচালক জনাব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। অনলাইন ভিত্তিক এই প্রশিক্ষণে ঢাকা থেকে ৪০ জন ট্যুর অপারেটর অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে বর্তমানে কঠিন দুঃসময়ের ভিতর দিয়ে যেতে হচ্ছে। এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সারা বিশ্বেই এর প্রভাব পড়েছে। করোনা মহামরীর জন্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প। তিনি বলেন করোনা পরবর্তীতেকালে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়ে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। উদ্ভাবন করতে হবে নতুন উপায়। তিনি প্রাইভেট স্টোকহোল্ডাদের এগিয়ে এসে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং অবলম্বনের জন্য অনুরোধ জানান। তিনি অভিমত প্রকাশ করেন যে, এই মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড অনলাইনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য তিনি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিচালকসহ সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদেরকে ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জাবেদ আহমেদ বলেন, এই মহামারী থেকে আমাদের পর্যটন শিল্পের উত্তোরণের জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সকল স্টেকহোল্ডাদেরকে সাথে নিয়ে বোর্ড পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ৪০ লক্ষ পর্যটন কর্মীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর সভাপতি জনাব রাফিউজ্জামান জানান এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। ট্যুর অপারেটররা বসে না থেকে অন্তত ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারছে, অপরদিকে আর্থিক ভাবেও সহযোগিতা পাচ্ছে। এমন একটি কর্মসূচী হাতে নেয়ায় তিনি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।