লালমনিরহাটে হারানো সুপ্রাচীন মসজিদের সন্ধান
Tweet
লালমনিরহাটে একটি মসজিদের সন্ধান পাওয়া যায় যা ৬৯০ সনে নির্মিত বলে জানা যায়। মসজিদটির শুধু মাত্র ধ্বংসাবশেষ থাকায় স্থানীয়দের কাছে পরিচিত পেয়েছে হারানো মসজিদ নামে। ধারণা করা হয়ে থাকে মসজিদটি শুধু বাংলাদেশ না , দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ।
লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় আড়া নামে বহুদিনের পতিত জঙ্গল ছিল। আড়া বলতে স্থানীয়রা জঙ্গলময় স্থান বুঝায়। জঙ্গলটি পরিস্কার করার সময় কিছু প্রাচীনকালের ইট বেরিয়ে আসলে, মাটি ও ইট সরাতে সরাতে মসজিদটির ভিত খুঁজে পাওয়া যায়। ঐখানে পাওয়া প্রাচীন শিলালিপির পাঠ থেকে মসজিদের প্রতিষ্ঠাকাল ৬৯ ০ হিজরি বলে জানা যায়। মসজিদের ধ্বংসস্তূপে যে শিলালিপি পাওয়া যায় তাতে স্পশ্ট করে ৬৯০ লিখা ছিল, শিলালিপিটি বর্তমানে রংপুরের তাজহাট জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ।
প্রথাগত ইতিহাস অনুযায়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলে সুফিদের প্রথম আগমন ঘটে ১০০০ শতকে। সুফিদের মাধ্যমে পূর্ববাংলায় ইসলামের প্রচার ও প্রসার শুরু হয় ১১০০ থেকে ১২০০ শতকে এবং এই অঞ্চলে প্রথম মসজিদ নির্মাণ হয় তাঁদের হাতেই । তাই এত আগে এখানে একটি মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি অনেকের কাছেই আশ্চর্যজনক। কিন্তু রোমান ও জার্মান ইতিহাসবিদের লেখায় আরব ও রোমান বণিকদের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় নৌ-বাণিজ্যের সূত্রে আসা-যাওয়ার কথা জানা যায়। ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা অববাহিকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
সুপ্রাচীন এই মসজিদটি রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ১ কিলোমিটার দক্ষিণে লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় অবস্থিত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রান মুসলমানরা এখানে নামাজ পড়তে আসেন।