সর্বোচ্চ পরীক্ষার দিনে রেকর্ড ১৮৭৩ জন শনাক্ত, ২০ মৃত্যু
Tweet
দেশে সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষার দিনে নতুন করোনাভাইরাসে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড ১ হাজার ৮৭৩ জন। নতুন করে ১ হাজার ৮৭৩ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৮৭৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ৩২ হাজার ৭৮ জন।
ডা. নাসিমা জানান, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২০ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৫২ জনের মৃত্যু হলো। সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী।
সর্বশেষ মারা যাওয়া ২০ জনের বয়স সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, এদের মধ্যে ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২ জন ও ১০ বছরের কম বয়সী ১ জন রয়েছে।
এই ২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জন, রংপুর বিভাগের ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ২ জন, রাজশাহী বিভাগের ২ জন, সিলেট বিভাগের ১ জন ও খুলনা বিভাগের ১ জন রয়েছেন বলে বুলেটিনে জানানো হয়।
এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা আরও ২৯৬ জন শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৬ হাজার ৪৮৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫২ লাখ ২৫ হাজার ৯১৬ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩১ জন। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭৪ জন।