সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য পর্যটনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বাস্তুরক্ষণ শীর্ষক জুম মিটিং

Share on Facebook

আজ ১৪ মে ২০২০ খ্রি:, বৃহস্পতিবার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য পর্যটনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বাস্তুরক্ষণ শীর্ষক জুম মিটিং আয়োজন করে সম্মিলিত পর্যটন জোট।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)-কে নিয়ে জোটের এই আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি।

আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খ্যাতনামা প্রত্নতত্ত্ব গবেষক প্রফেসর ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)-র পরিচালক (বিপণন, পরিকল্পনা ও জনসংযোগ) আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের। জোটের স্কলার্স উইংয়ের সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. এনায়েত হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন।

সম্মিলিত পর্যটন জোটের আহবায়ক ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমানের পরিচালনায় উৎসব পর্যটন, প্রত্নপর্যটন ও ধর্মীয় পর্যটনের মানোন্নয়ন, প্রমোশন কৌশল এবং প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ নিয়ে ২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনাকালে প্রধান অতিথি ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান যে, তাঁর মন্ত্রণালয় সাংস্কৃতিক পর্যটনের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে নানাবিধ কাজ করছে। তারা পর্যটনবান্ধব একটি সাংস্কৃতিক নীতিমালা তৈরি করছেন যাতে পর্যটন ব্যক্তিবর্গের অবদান রাখার সুযোগ আছে। তিনি আরো জানান যে, প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কিছু প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে তিনি প্রত্নস্থলগুলিতে গাইড তৈরি ও অতীশ দীপঙ্করকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য ছবি তৈরি করার জন্য সম্মিলিত পর্যটন জোটকে লিখিত প্রস্তাবনা দাখিলের পরামর্শ দেন।

প্রফেসর ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন যে, আগামী দিনে বিক্রমপুর হবে বিশ্ব বৌদ্ধ তীর্থ কেন্দ্র। তাই প্রত্নস্থানের ব্র্যান্ডিং জরুরি। এর উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, উয়ারী-বটেশ্বরে বসবাসকারী গঙ্গারিডি জাতিকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এখানে একটি গঙ্গারিডি জাদুঘর তৈরি করা হচ্ছে। তিনি প্রত্নস্থলগুলিকে এমনভাবে গড়ে তোলার জন্য সচিব মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যেন একজন মানুষ ছাত্র অবস্থায়, নববিবাহিত অবস্থায় এবং তার সন্তানদেরকে নিয়ে একই প্রত্নস্থলে জীবনে অন্তত ৩ বার ভ্রমণে আসেন। তিনি অধিক পরিমাণে প্রত্নতত্ত্বের গবেষণা পরিচালনাসহ প্রত্নসম্পদের বৈজ্ঞানিক সংরক্ষণের উপর বিশেষ জোর দেন। তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস্ চলে যাবে, কিন্তু ট্যুরিজম থাকবে। তাই এর প্রতি সকলের নজর দেওয়া সবিশেষ গুরুতবপূর্ণ।

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, পরিচালক (বিপণন, পরিকল্পনা ও জনসংযোগ) সীমিত জনবল নিয়ে করোনাউত্তর সময়ে তারা ট্যুরিজম রিকভারি প্ল্যান তৈরি করছেন বলে উল্লেখ করে বলেন যে, একটি দেশের পর্যটনকে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে নেওয়ার যে সক্ষমতা থাকা দরকার বর্তমান ট্যুরিজম বোর্ডের তা নাই। তথাপি আমরা সকলের সহযোগিতায় চেষ্টা করে যাচ্ছি। করোনাউত্তর কালে বিটিবি স্থানীয় পর্যটকদেরকে আকর্ষণ করার জন্য বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে এবং এইজন্য প্রয়োজনীয় প্রমোশনাল ম্যাটেরিয়াল তৈরি করা হবে। বিশেষত প্রত্নস্থানের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে তারা এই সংক্রান্ত প্রমোশনাল ম্যাটেরিয়াল তৈরি করবেন বলেও জানান।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জোটের স্কলার্স উইংয়ের সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. এনায়েত হোসেন, জোটের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ১ম যুগ্ম-আহবায়ক শহীদুল ইসলাম সাগর, কাজী রহিম শাহরিয়ার, হোসাইন আমির, মাসুদুল হাসান জায়েদী, কিশোর রায়হান, এবিএম ইব্রাহিম, জয়িতা শেখ আশরাফুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।

Leave a Reply