ইতালিতে সাত’শ বছরের পুরোনো ডুবো গ্রাম আবার জেগে উঠেছে
Tweet
পাহাড়ঘেরা গ্রামটির ছিল কয়েকশ বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য। এই এলাকাকে ঘিরে ছিল হাজার রজনীর উপাখ্যান। তবে দেশটির সরকারের সিদ্ধান্তে ১৯৪৬ সালে জলবিদ্যুতের বাঁধ কেড়ে নেয় সবকিছু। শেষ হয়ে যায় পুরো গ্রামটির। তারপর অনেক বছর হলো এটি চিল পানির নিচে। একদম ধ্বংস হয়ে যায়নি। ইতালির লুকা প্রদেশে অবস্থিত ফাব্রিচ দি ক্যারেজিন নামের গ্রামটি একবার জেগে উঠেছিল ১৯৯৪ সালে। এরপর অনেক দিন পর আবার জেে উঠেছে করোনা মহামারীর বছর। সবাই বলছে এর সাথে করোনার একটা যোগ সম্পর্ক আছে নাকি।
সিএনএন বলছে, ১৯৪৬ সালে তৈরি জলবিদ্যুৎ বাঁধ ও ভাগলি হ্রদের কারণে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায় গ্রামটি। এরপর মাঝে মাঝে বাঁধের পানি সরিয়ে নিলে দেখা যেত গ্রামটি। এবার সিকি শতাব্দী পর জলের তল থেকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল গ্রামটি।
প্রায় সাড়ে তিন কোটি কোটি কিউবিক মিটার পানিতে ডুব দেওয়া গ্রামের পাথরে তৈরি বাড়ি, একটি সেতু, গোরস্তান ও সান থিওডরো চার্চ এখনো টিকে আছে।
১৯৫৮, ১৯৭৪, ১৯৮৩ ও সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে বাঁধ খালি করা হলে ভুতুড়ে গ্রামটি জেগে ওঠে। সাধারণত প্রতি দশ বছর অন্তর অন্তর মেরামতের জন্য বাঁধের অনেকটা খালি করা হয়। ২৭ বছর পর সম্প্রতি আবারও হ্রদটি শুকানোর লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
ইতালির সংবাদমাধ্যমের বরাতে সিএনএন জানায়, স্থানীয় রাজনীতিবিদরা অনেক দিন ধরে হ্রদ শুকিয়ে গ্রামটিকে আবার আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন।
এক ফেইসবুক পোস্টে সাবেক মেয়র কন্যা লরেঞ্জা গিওর্গি লেখেন, আগামী বছর হ্রদটি শুকিয়ে যাবে। তার বাবা মারিও পাগলিয়া মেয়র থাকাকালে ১৯৯৪ সালে সর্বশেষ গ্রামটি জেগে উঠেছিল। তিনি পর্যটন ও স্থানীয় কর্মসংস্থানকে উজ্জীবিত করতে হ্রদটিকে শুকিয়ে ফেলার কথা বলেন।
এদিকে, বাঁধের কারণে গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল নতুন লেকসাইড শহর ভাগলি সিটিতে। তারাও এবার দাবি জানাচ্ছেন গ্রামটি যেন ফের ডুবে না যায় সেই ব্যবস্থা নিতে।