করোনায় এক দিনে রেকর্ড ৪০১৪ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
Tweet
করোনায় এক দিনে রেকর্ড ৪ হাজার ১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন।
সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; তাতে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৮৩ জন।
আইইডিসিআরের অনুমিত হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে আরও ২ হাজার ৫৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ৭৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা সোমবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ১৮ জুন দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায় ২২ জুন।
এর আগে গত ১৭ জুন একদিনে ৪০০৮ জন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতদিন সেটাই ছিল এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
১৬ জুন এক দিনে মোট ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে, এখন পর্যন্ত সেটাই সর্বোচ্চ।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। ৩০ জন হাসপাতালে এবং ১৪ জন বাড়িতে মারা গেছেন। একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৯০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ জনের বয়স ৯১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৪ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
এই ৪৫ জনের মধ্যে ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, ৩ বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, দেশের ৬৫টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৮৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।