করোনায় এক দিনে সর্বাধিক মৃত্যু
Tweet
একদিনে রেকর্ড ৪২ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৮৮ জন।
রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৭৪৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৭৬৯ জনে।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭৮ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ৯০৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা রোববার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ৩১ মে ৪০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এতদিন সেটাই ছিল এক দিনের সর্বোচ্চ।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ, ৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে এবং ১২ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের ২৭ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এই ৪২ জনের মধ্যে এক জনের বয়স ছিল ৯০ বছরের বেশি। এছাড়া ৩ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৪ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ছিল থেকে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
বুলেটিনে জানানো হয়, সারা দেশে ৫৫টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫২টি পরীক্ষাগার থেকে নমুনা পরীক্ষার তথ্য এসেছে।
নতুন দুটি পরীক্ষাগার হল ঢাকার সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার ও গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৭টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৪৬৭ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৯ জন রোগী।