ঢাকা-গুয়াংজু রুটে চায়না সাউদার্নের ফ্লাইট স্থগিত হচ্ছে
Tweet
গত ১১ জুন ঢাকা থেকে চীনের গুয়াংঝু শহরগামী চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ১৭ জন যাত্রী করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। চীনের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাটিকে ‘সার্কিট ব্রেকার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ঢাকা-গুয়াংঝু রুটে বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেইজিং।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আগামী চার সপ্তাহ চীনের এই বিমান সংস্থা বাংলাদেশ-গুয়াংঝু রুটে বিমান চলাচল করতে পারবে না। রোববার চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ-গুয়াংঝু ফ্লাইট চলাচলে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানানো হয়।
চীনের বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রশাসনের জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে চীনের গুয়াংডং প্রদেশের গুয়াংঝু শহরে আসা চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের ১৭ জন যাত্রীর নমুনা পরীক্ষায় নভেল করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৪ জুন চীন সরকারের জারিকৃত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা নীতির আলোকে- আগামী ২২ জুন থেকে পরবর্তী চার সপ্তাহের জন্য চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ঢাকা-গুয়াংঝু ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত থাকবে।
চীনে করোনার প্রকোপ কমে আসায় সম্প্রতি আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান চলাচলের বিধি-নিষেধ শিথিল করে চীন। তবে করোনার ঝুঁকি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বিধি চালু করেছে দেশটি।
নতুন বিধি অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের কোনও রুটের ফ্লাইটে যদি পাঁচজন যাত্রীর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, তাহলে সেই রুটের ফ্লাইট এক সপ্তাহ স্থগিত থাকবে। এছাড়া যদি করোনা আক্রান্ত যাত্রীর সংখ্যা ১০ ছাড়িয়ে যায় তাহলে সেই বিমানসংস্থা চার সপ্তাহ ফ্লাইট বন্ধ রাখবে।
উল্লেখ্য, জুনের ১৩ তারিখ পর্যন্ত বিদেশ থেকে চায়না যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে ১৯ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ জন যাত্রীই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া।