পর্তুগাল যেতে ২৫৫ বাংলাদেশির দিনভর অপেক্ষা
Tweet
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে বিমানবন্দরে দিনভর অপেক্ষা শেষে পর্তুগাল যেতে পারছেন ২৫৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি।
বুধবার রাত ১২টা ২৫মিনিটে তাদের নিয়ে বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়বে বলে জানিয়েছেন বিমানের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার।
ওই ফ্লাইটের যাত্রীরা সকাল থেকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ছিলেন। আজিম উদ্দিন আহমেদ নামে এক যাত্রী বলেন, “আমাদের ফ্লাইট ছিল সকাল ১১টায়। এরপর শুনি ফ্লাইট কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকা ছাড়বে। কিন্তু ফ্লাইট না ছাড়ায় দিনভর অপেক্ষা শেষে রাতে পর্তুগাল রওনা হচ্ছি।”
বিমানবন্দরে মোট ২৬০ জন উপস্থিত হলেও ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় পাঁচজন যেতে পারছেন না বলে জানান আজিম।
তাহেরা খন্দকার বলেন, “বিশেষ ফ্লাইটটির বিষয়ে পর্তুগালের সিভিল এভিয়েশনের আগে থেকেই অনুমতি ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে পর্তুগাল সরকার নতুন আইন করেছে, সেখানে কোনো এয়ারক্রাফট যেতে হলে সেখানকার সিভিল এভিয়েশনের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও অনুমতি লাগবে। এই অনুমতি পেতে কিছুটা দেরি হওয়ায় ফ্লাইট সময় মতো ছাড়া সম্ভব হয়নি।”
ফ্লাইট দেরি হওয়ার কারণে যাত্রীদের দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বের বিমান যোগাযোগ সীমিত হওয়ার অনেকে যেমন ভিন দেশে আটকা পড়েন, তেমনি প্রবাসী অনেকে দেশে ফিরে আটকা পড়ে যান।
তিন মাস পর বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট চলাচল ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে।
তবে এর মধ্যে বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশ ছাড়তে চাইলে তাদের ভাড়ায় বিশেষ ফ্লাইট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বিদেশে আটকা পড়া বাংলাদেশিদেরও একইভাবে ফেরানো হচ্ছে।
ঢাকা থেকে পর্তুগালের সরাসরি ফ্লাইট নেই। তাই প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে যাচ্ছেন।