বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমইভুক্ত ৫ম অগ্রাধিকার খাত পর্যটন
Tweet
আজ ৯ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সম্মিলিত পর্যটন জোটের ‘পর্যটন সহায়ক ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তন’ শীর্ষক অনলাইন মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু ফারাহ মো. নাসের এবং অর্থনীতিবিদ শাহরিয়ার পারভেজ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সম্মিলিত পর্যটন জোটের আহবায়ক ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান।
আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাসের বলেন যে, বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে প্রদত্ত পত্রে ট্যুরিজম সেক্টরকে এসএমই এবং পুনঃঅর্থায়নযোগ্য খাত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। অতপর ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্য এক পরিপত্রের মাধ্যমে একে সেবা ও অগ্রাধিকার খাত হিসেবে নির্ধারণ করে। এই পরিপত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত ২৪টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এসএমই খাতের মধ্যে পর্যটন ৫ম স্থানে রয়েছে। তবে পর্যটনের সকল উপখাতগুলি সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করার জন্য ঋণ পেতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই তিনি সম্মিলিত পর্যটন জোটকে এর একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে উপস্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, এটি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন প্রস্তুত করে ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ দিবে। আগামী দিনে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করে পর্যটনসহ সকল এসএমই খাতকে সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সদিচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন।
জাবেদ আহমেদ পর্যটন খাতের বিস্তারের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে সহজ শর্তে, কমসুদে এবং সহজামানত ছাড়া পর্যটনের ছোট ছোট উদ্যোক্তাদেরকে আর্থিক সহযোগতা প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানান। এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর সচিব এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. এমরান পর্যটন খাতের প্রত্যেকটি উপখাতকে দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। টোয়ারের পরিচালক (মিডিয়া এন্ড পাবলিকেশনস্) সাহেদ উল্লাহ দাবী জানিয়ে বলেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত এই সেক্টরে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ না দিলে দেশের ৬০% ট্যুর অপারেটরকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে।
অর্থনীতিবিদ শাহরিয়ার পারভেজ নানা কারণে বাংলাদেশের পর্যটন ৫৩% বাজার হারানোর তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, এই সেক্টরে সহজশর্তে ঋণের প্রবাহ বাড়ানো একান্ত প্রয়োজনীয়। তিনি দীর্ঘমেয়াদি অর্থ সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ‘ট্যুরিজম বন্ড’ ছাড়ার পরামর্শ দেন। ট্যুরিজম ব্যাংকিং মূলধন ঘাটতি কমাবে, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট এবং ব্যালেন্স অব ট্রেডে বড় ভূমিকা রাখরে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে সংক্ষেপে বক্তব্য রাখেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সমন্বয়কারী এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, আটাবের মহাসচিব মাজহারুল হক ভূঁইয়া এবং সম্মিলিত পর্যটন জোটের ১ম যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সাগর।
সবশেষে উপস্থিত সকলের প্রতি জোটের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন জোট নেতা জয়িতা শেখ।