মুম্বাইয়ের কাছে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’
Tweet
মুম্বাইসহ ভারতের মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে আবর সাগরের ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ।
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার সময় ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ এ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।
মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাইগাড এলাকার আলিবাগ উপকূল দিয়ে নিসর্গ স্থলে উঠে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
এ সময় ঘন্টায় একটানা ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে, যা ঝড়ো ও দমকা হওয়া আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মহারাষ্ট্র ও গুজরাটজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাজ্য দুটির উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে এক লাখেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মুম্বাই শহরের উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অস্থায়ীভাবে নির্মিত একটি কোভিড-১৯ হাসপাতালের দেড়শজন রোগীও রয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
মুম্বাই সংলগ্ন ভারতের বৃহত্তম কন্টেইনার পোর্ট ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জওহরলাল নেহেরু পোর্ট ট্রাস্ট (জেএনপিটি) ।
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবের পর দুই সপ্তাহ পার না হতেই গত শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে লাক্ষাদ্বীপের কাছাকাছি একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়৷ পরে তা নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে নাম দেওয়া হয় নিসর্গ৷
আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্র উপকূলজুড়ে জলোচ্ছ্বাস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।
গত একশ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম মুম্বাই একটি ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে যাচ্ছে। মুম্বাইয়ের পাশাপাশি থানে, পলঘর ও রাইগাডেও রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
আরব সাগরের আবহাওয়ার ধরনের কারণেই মুম্বাইয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি কম। প্রতি বছর এই সাগরে গড়ে এক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। সেসব ঘূর্ণিঝড় সাধারণত পশ্চিম দিকে ওমান ও এডেন উপসাগরের দিকে চলে যায়।
কখনও কখনও উত্তরে গুজরাটের উপকূলের দিকে ধেয়ে গেলেও পূর্বমুখি সাধারণত হয় না। গত বছর আরব সাগরে উৎপত্তি হওয়া ঘূর্ণিঝড় বায়ু গুজরাট উপকূলে আঘাত হেনেছিল। এর আগে ১৯৯৮ সালে একই উপকূলে আঘাত হানা আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ে কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছিল।