আম্পানের দেড় মাস পরও পানিবন্দি সাতক্ষীরার ৫০ হাজার মানুষ
Tweet
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাতক্ষীরা উপকূলের বেড়িবাঁধগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । আম্পানের দেড় মাস পরও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তিন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়নি। ফলে এখনও এখানকার মানুষের বাড়ির উঠানে চলছে জোয়ার-ভাটা।
ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠী। বাঁধ ভেঙে পানির আধারগুলো নষ্ট হওয়ায় সুপেয় পানির জন্য চলছে হাহাকার।
আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়ন, শ্রীউলা ইউনিয়ন এবং সদরের দয়ারঘাট এলাকার ১২৯০ মিটার ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ এখনও পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে।
এদিকে নদীর পানি প্রবেশ না করলেও স্যানিটেশন সমস্যা ভুগছেন শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলার অধিকাংশ বেড়িবাঁধ আম্পানে ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়া, হরিষখালী, চাকলা, শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি এবং আশাশুনির সদরের দয়ারঘাট এলাকায় প্রবল জোয়ারে ৩০-৪০ ফুট গভীর খাল সৃষ্টি হওয়ায় বাঁধ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
নদীর লোনা পানি প্রবেশের ফলে বাথরুম, গোসল ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বেড়ে চলছে চর্মরোগ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং সেনাবাহিনী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। তারপরও মানুষের হাহাকার কমছে না।
সবচেয়ে সমস্যায় আছে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা। নারীদের বাথরুম করার জন্য সন্ধ্যা বা অন্ধকারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।