করোনায় ইনজেকশনের চেয়েও নাজাল ভ্যাকসিন বেশি কার্যকর
Tweet
করোনা মহামারি প্রতিহতে বিশ্বজুড়ে ১৫৫টি প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। কার্যকর এই প্রতিষেধকের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে তিনটি। এর মধ্যেই একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, ইনজেকশনের চেয়েও করোনার ক্ষেত্রে ‘নাজাল ভ্যাকসিন’ কার্যকর হতে পারে অনেক বেশি ।
নিউইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের দাবি, করোনার ক্ষেত্রে ‘নাজাল ভ্যাকসিন’ ইনজেকশনের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে। শুধু তাই নয়, ইনজেকশনের তুলনায় শরীরে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও ‘নাজাল ভ্যাকসিন’ দ্রুত কাজ করবে।
মার্কিন গবেষকরা জানান, করোনা আক্রান্তের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাস দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে ফুসফুসে। তারপর এই সংক্রমণের কারণেই ক্রমশ বাড়তে থাকে শ্বাসকষ্ট। পরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে শরীরে অক্সিজেনের অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন রোগীরা। অর্থাৎ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথমেই শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত করছে করোনা। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে।
এই বিজ্ঞানীদের মতে, করোনার ‘নাজাল ভ্যাকসিন’ সরাসরি আমাদের শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। রক্ত বাহিত অক্সিজেনের মাধ্যমে প্রতিষেধক দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়া এই ‘নাজাল ভ্যাকসিন’ দ্রুত ‘টি সেল’-এর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতেও সহাযক। এর ফলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে শরীরে।
বলে রাখা ভাল, টি-সেল হল এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা ও তার (ইমিউন সিস্টেম) কার্যকলাপের অন্যতম অঙ্গ। এই টি-সেল শরীরে প্রবেশ করা ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণকে প্রতিহত করে আমাদের সুস্থতা বজায় রাখে।
এদিকে, ব্রিটেনের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা করোনার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বিশেষ ধরনের ইনহেলার SNG 1001 তৈরি করেছেন। তাঁদের দাবি, এই ইনহেলার ফুসফুসের ভাইরাস সংক্রমণ নিরাময়ের পাশাপাশি ভাইরাল লোড কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। মোটামুটি একই পথে হেঁটে করোনা রুখতে ইনজেকশনের তুলনায় ‘নাজাল ভ্যাকসিন’-এর দিকেই হাঁটছেন এই মার্কিন গবেষকরাও।