করোনায় ভারতে মৃত্যু ছাড়িয়ে গেল ২০ হাজার
Tweet
করোনা মহামারীর মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।
সাত লাখ শনাক্ত রোগী নিয়ে ভারত এখন সংক্রমণের দিকে দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার পর ভারতে এখন সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক দিনে আরও ২০ হাজার ১৬০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে সেখানে। তাতে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের এই দেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৫ জন।
এই সময়ে করোনাভাইরাসে আরও ৪৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হল ২০ হাজার ১৬০ জনের।
এর আগের দিনই ভারত শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় রাশিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে।
ভারতের চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে কেবল ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে ব্রাজিলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ২৩ হাজারের বেশি। আর ২৯ লাখ ৩৫ হাজার শনাক্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আছে সবার ওপরে।
রয়টার্স লিখেছে, ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকলেও প্রতি দশ হাজারে মৃত্যু হারের বিবেচনায় এখনও তা বেশ কম। ভারতে প্রতি দশ হাজারে মৃত্যু হার এখন শূন্য দশমিক ১৫, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ৩ দশমিক ৯৭, যুক্তরাজ্যে ৬ দশমিক ৬৫।
গত ৩০ জানুয়ারি কেরালায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১১০ দিন।
মার্চের শেষে ভারতজুড়ে দেওয়া কঠোর লকডাউনের কারণে দেশটিতে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত জনসংখ্যা অনুপাতে রোগী মিলছিল কমই। কিন্তু লকডাউন শিথিলের পর থেকে পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে যায়।
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক থেকে দুই লাখে পৌঁছায় মাত্র ১৫ দিনে। এরপর দুই থেকে তিন লাখে ১০ দিনে, তিন থেকে চার লাখে ৮ দিনে, চার থেকে পাঁচ লাখে ৬ দিন, পাঁচ থেকে ছয় লাখে পৌঁছাতে ৫ দিন সময় লাগে। শেষ এক লাখ যোগ হতেও মাত্র ৫ দিনই সময় লেগেছে।