গণপরিবহন নয়, ঈদে চলাচল বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহন
Tweet
কোরবানির ঈদের আগে-পরে ৯ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশু পরিবহনের যানবাহন ছাড়া পণ্য পরিবহনের অন্য সব যান বন্ধ রাখবে সরকার; এই সময় গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত থাকবে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে এক বৈঠকের শুরুতে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঈদের আগে-পরে নয় দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিলেন।
তবে সভা শেষে তিনি বলেন, “ঈদের আগে-পরে নয় দিন পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে। ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের তিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশুর ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে চলাচল বন্ধ থাকবে। নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলবে কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চলবে না।”
সভার শুরুতে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল।
আগের বক্তব্য থেকে সরে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈঠকে ওই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। তবে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলবে, কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চলবে না।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কোরবানির ঈদে সব চাকরিজীবীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছে সরকার।
গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চলাচল করায় ঈদের সময় সিদ্ধান্ত কী হবে, তা জানতে সবার আগ্রহ রয়েছে।
ঈদে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ। সাংবাদিকদের অনুরোধে বুধবারের সভার শুরুতে ব্রিফিং করেছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ।
ওই সময় তিনি বলেন, “ঈদুল আজহার সময় জনগণের যাতায়াত সীমাবদ্ধ করার নিমিত্তে ঈদুল আজহার পাঁচদিন পূর্ব থেকে তিন দিন পর পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন আদেশ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
মানে ঈদের আগের পাঁচদিন এবং পরের তিন দিন আমাদের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এটা সরকারের পক্ষ থেকে এটা একটা প্রজ্ঞাপন পেয়েছি আমরা, সেটা আমরা জানিয়ে দিলাম, সে আলোকেই আমরা পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করব।যারা ঈদে (বাড়ি) যেতে চায় তাদের পাঁচ দিন পূর্বে যেতে হবে এবং যারা আসতে চায় (ঈদের) তিন দিন পরে আসতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে বলেছে, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী তার স্টেশন লিভ করতে পারবে না।