ডেঙ্গু নিয়ে ডিএনসিসির নানা পদেক্ষপ ‘সুফল’ বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ
Tweet
এবার অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নানা পদেক্ষপ চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, যার সুফলও আসতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম। বছরের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যুর তথ্য সরকারের নথিভুক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া ও এইডিসবাহিত রোগ নিমূল কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান বলেন, “এ বছর এখন পর্যন্ত ডিএনসিসির মশক নিধন কার্যক্রম সন্তোষজনক মনে হয়েছে আমাদের। জনগণের অংশগ্রহণ এখানে বড় ভূমিকা রেখেছে।”
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু গতবছর বাংলাদেশের মাথাব্যথার বড় হয়ে উঠেছিল। সরকারি হিসাবে, পুরো বছরে ১ লাখের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছিল ২৭৬ জনের।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য নগরবাসীর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। এমনকি দক্ষিণ সিটির নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নেও বিষয়টি প্রভাব ফেলে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মকর্তারা বলছেন, মশক নিধন কার্যক্রম সফল করতে এবার বছরের শুরু থেকেই জনসচেতনতায় জোর দিয়ে আসছেন তারা।
আর এই কাজে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। মাইকিং, লিফলেট, পোস্টার, স্টিকার বিলিসহ ডিজিটাল প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। এইডিস মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে তা নিশ্চিহ্ন করতে জুন থেকে শুরু হয়েছে ‘চিরুনি অভিযান’।
ডিএনসিসির পাঁচটি নগর মাতৃসদন এবং ৩৫টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে ১৭৫টি পরীক্ষা করে ৭ জন রোগী শনাক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, মশক নিধন কার্যক্রমে গত বছরের অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে তিনি ১২ জন কীটতত্ত্ববিদের একটি দল করেছেন। সেই সঙ্গে মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছেন।