করোনাকালে কোরবানির হাট বসছে না সব জাগায়
Tweet
করোনা সংক্রমণ রোধে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও, আফতাবনগর, ভাসানটেকে এবার কোরবানির পশুর হাট বসবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকালে এক ভিডিও বার্তায় মেয়র বলেন, “জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানি পশুর হাট বসাবে না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
“এটি সত্য যে আমাদের শহরে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে যদি পশুর হাট বসে সেটি কিন্তু জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমি পরিবর্তন করতে বলেছি। হাট ইজারা দিয়ে হয়তো কোটি টাকা আয় করা যাবে, কিন্তু টাকার চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।”
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২৪টি স্থান কোরবানির পশুর হাটের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে রয়েছে ১৪টি।
আর উত্তরে তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের (আফতাবনগর) ব্লক-ই সেকশন-৩ এর খালি জায়গা এবং ভাসানটেক সড়কের খালি জায়গাসহ মোট ১০ট স্থান চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
তেজগাঁও, আফতাবনগর, ভাসানটেকে হাট না বসানোর কারণ হিসেবে মেয়র আতিক বলেন, “সেখান থেকে আমাদের অনেক টাকা আয়ও হতো। কিন্তু এ বছর করোনা বিবেচনায় আমরা এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই স্থানে হাট বসতে দেব না।”
উত্তরা ১০, ১১ ও ১২ নম্বর সেক্টর জুড়ে বড় হাট বসত। গত বছর এই হাটের ইজারা মূল্য পাওয়া গিয়েছিল চার কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কিন্তু এবছর উত্তরাবাসীর জন্য ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকায় বড় হাট বসবে।
এছাড়া মোহাম্মদপুরের বসিলায় একটা হাট দেওয়া হবে। এছাড়াও পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী ও ১০০ ফুট সড়কের সাইদ নগর এলাকা, এয়ারপোর্টের কাছের কাওলা এলাকায় পশুর হাট বসবে।
আর গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাট তো থাকছেই।
পশুর হাটে ন্যূনতম পাঁচ ফুট দূরত্বে পশু রাখার নির্দেশনাও দিয়েছেন উত্তরের মেয়র।
“সব হাটেই মেনে চলতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। ইজারদারদেরকে বলা থাকবে যাতে পশুর হাটে ন্যূনতম পাঁচ ফুট দূরে দূরে গরু রাখার ব্যবস্থা করে তারা। হাটে পর্যাপ্ত বেসিন এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে, জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে একটু পর পর মাইকিং থাকতে হবে।”
শারীরিকভাবে দুর্বল, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুরা যেন পশুর হাটে না যায় সে অনুরোধও করেন আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “সব পশুর হাটে ম্যজিস্ট্রেট টহল থাকবে। ইজারাদারদেরকে সতর্ক থাকতে হবে, আমাদের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে, অন্যথায় ইজারা বাতিল করা হবে।”
কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে মেয়র নগরবাসীকে অনুরোধ করে বলেন, “আপনারা সিটি করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেবেন, কোনো অবস্থাতেই বর্জ্য ড্রেনে ফেলবেন না, ইনশাআল্লাহ আমরা এবারও ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা উত্তরের সকল বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হব।”