দেশের দুই-তৃতীয়াংশ বেসরকারি হাসপাতালের নেই লাইসেন্স নবায়ন
Tweet
দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টানারের তিনভাগের দুইভাগেরই লাইসেন্স নবায়ন না করেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। অনেকেই বছরের পর বছর ধরে তা করে না। অথচ ভ্রুক্ষেপ নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও।
উল্টো লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছিল তারা। এছাড়া, যথাসময়ে ফি জমা দিয়েও লাইসেন্স নবায়ন না পাওয়ার অভিযোগ করেছে অনেক হাসপাতাল।
দেশে ১৭ হাজার ২৪৪টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থাকলেও এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নবায়ন করেছে মাত্র ৫ হাজার ৫৫টি। মাসের পর মাস, কোন ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরেই লাইসেন্স নবায়ন করে না বেশিরভাগ হাসপাতাল।
সম্প্রতি করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত রিজেন্ট হাসপাতালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের উঠে আসে, ২০১৪ সালের পর লাইসেন্সই নবায়ন করেনি এ প্রতিষ্ঠানটি। অথচ তাদের সাথেই করোনা চিকিৎসার জন্য চুক্তি করেছে খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযোগের তীর তাই অধিদপ্তরের দিকেও। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন,’এটা কোন ভাবেই আশা করা যায় না যে, যার রেজিস্ট্রেশন নেই তার মান সম্মত সেবা দেবার আগ্রহ আছে।’
২০১৮ সালে লাইসেন্স নবায়ন ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে হাসপাতাল ভেদে ৫০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা করা হয়েছে।