দেশে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে
Tweet
দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ১৪৫তম দিনে ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে সংক্রমণের হার কমেছে, বেড়েছে সুস্থতার হার।
গত ২৪ ঘন্টায় ১২ হাজার ৯৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৪ হাজার ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৯ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৩১৪ জন কম শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ২১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৪৭ শতাংশ কম।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৫৬ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ১২ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ হাজার ৮৩ জন। শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আগের দিনও এই হার ছিল ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৬৭ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ২৫৩ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৫৮৬টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৮২টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৯৩৭ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজার ১২৭ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ১৯০টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন এবং নারী ১২ জন। এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেছেন ২ হাজার ৪২৪ জন, যা ৭৮ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং নারী মারা গেছেন ৬৫৯ জন, যা ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ৭ জন।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিবেচনায় ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ৯১ থেকে ১শ’ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ জন; যা দশমিক ৫৮ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন; যা দশমিক ৯৭ শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৫ জন; যা ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০২ জন; যা ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৩৫ জন, যা ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৯০ জন, যা ২৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং ষাটের অধিক ১ হাজার ৪২৩ জন, যা ৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগভিত্তিক মৃতের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা ও সিলেট বিভাগে ৫ জন করে, রাজশাহীতে ৩ জন এবং বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত বিভাগভিত্তিক মৃতের সংখ্যা শতকরা হারে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৪৭৫ জন; যা ৪৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৫১ জন, যা ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ; রাজশাহীতে ১৮২ জন, যা ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ; খুলনা বিভাগে ২১৯ জন, যা ৭ দশমিক ১০ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে ১০২ জন, যা ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ; সিলেট বিভাগে ১৫১ জন, যা ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ; রংপুর বিভাগে ১৭৭ জন, যা ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭ জন, যা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।