মহামারী, নতুন চ্যালেঞ্জ চামড়ার
Tweet
গেল বছর ট্যানারি, আড়তদার ও ফড়িয়াদের টানাপড়েনে কোরবানির মৌসুমে পথে পথে পচতে বসেছিল কাঁচা চামড়া। কভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা আর রপ্তানিতে মন্দার মধ্যে এবারের ঈদেও কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের অভিযান নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বড় ধরনের অব্যবস্থাপনা এড়াতে বিভিন্ন পর্যায়ে ধাপে ধাপে বৈঠক করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
আড়তদাররা বলছেন, বিশ্ববাজারে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় ট্যানারিগুলোতে চামড়ার চাহিদা কমেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের মনে হচ্ছে, এবার চামড়ার দাম গত বছরের চেয়েও কমে যেতে পারে।
আর ট্যানারি মালিকরা বলছেন, বাজার বিশ্লেষণ করে সরকারই কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করবে। গতবছরের চেয়ে এবার চামড়ার দাম কম হবে বলেই তারা মনে করছেন। এখন ফড়িয়ারা সরকার নির্ধারিত দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চামড়া কিনলেই তাদের আর গতবারের মত লোকসানে পড়তে হবে না।
গত বছর ট্যানারিগুলোর কেনার জন্য ঢাকায় গরুর কাঁচা চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর খাসির কাঁচা চামড়া সারাদেশে ১৮-২০ এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকা দর ঠিক করে দিয়েছিল সরকার।
কিন্তু আড়তদারদের কাছে ‘ন্যায্য মূল্য’ না পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় ও আবর্জনার ভাগাড়ে চামড়া ফেলে গিয়েছিলেন ফড়িয়ারা।
ফাইল ছবিফাইল ছবিঅড়তদারদের অভিযোগ ছিল, ট্যানারি মালিকরা তাদের দীর্ঘদিনের বকেয়া টাকা পরিশোধ করছেন না। ফলে তারা নতুন করে চামড়া কেনার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।
অন্যদিকে ট্যানারি মালিকদের অভিযোগ ছিল, ‘সিন্ডিকেট’ করে আড়তদাররা মাঠ পর্যায়ে চামড়ার দাম কমিয়ে দিলেও ট্যানারিগুলোর কাছে তারা সরককার নির্ধারিত দামেই চামড়া বিক্রি করছেন।