ওষুধের চেয়ে মধু বেশি কার্যকরী সর্দি-কাশিতে???
Tweet
মধু একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল এবং এটি সুপেয়। হাজার বছরেও মধুর গুণাগুণ নষ্ট হয় না।মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে।১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।
রোগ নিরাময়ের জন্য মধু কখনো এককভাবে, আবার কখনো ভেষজ দ্রব্যের সঙ্গে মিশ্রিত করে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় সফলতার সঙ্গে ব্যবহার হয়ে আসছে।
মধু মহান আল্লাহ তা’আলার একটি বিশেষ নেয়ামত। এই নেয়ামতে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। মধু রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিসহ নানাপ্রকারের উপকার সাধন করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) একে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। এটা যেমন বলকারক, সুস্বাদু ও উত্তম উপাদেয় খাদ্যনির্যাস, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও।
সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলা হচ্ছে যে, অ্যান্টিবায়োটিক বা ওভার-দ্য কাউন্টার ওষুধের চেয়ে মধু এই রোগগুলোর চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরও কার্যকরী। এমনটাই প্রকাশ করেছে ডেইলিমেইল পত্রিকা।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকেরা রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার চেয়ে মধু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া উচিত যা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রতিরোধের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীরা আপার রিসপ্রেটরি ট্র্যাক্টের চিকিৎসা করার সময় মধুর প্রভাব নির্ধারণ করার জন্য ১,৭৬১ জন অংশগ্রহণকারীদের সাথে ১৪ টি গবেষণা পর্যালোচনা করেছিলেন।১৪ টি গবেষণায় মধু সেবনকারী রোগীদের কাশির ওষুধ এবং ব্যথানাশক সেবনকারী রোগীদের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
তারা দেখতে পান যে, মধু লক্ষণগুলো দূর করতে আরও কার্যকর ছিল – বিশেষত কাশির ঘনত্ব এবং তীব্রতা। অ্যান্টিহিস্টামাইন ডিফেনহাইড্রামিনের ক্ষেত্রে মধু উল্লেখযোগ্যভাবে আরও ভালো ছিলো, কারণ এটি কাশির তীব্রতা ৫০ শতাংশ হ্রাস করেছিল।
দুই চা চামচের সমপরিমাণ মধু ও বাসকপাতার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও কাশি সেরে যায়।তুলসী পাতার এক চা চামচ রস ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই কাশি দূর হয়।
মধু দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং দু’বছর আগে যুক্তরাজ্যের মেডিকেল ওয়াচডগ এটি কাশির চিকিৎসার জন্য সরকারী নির্দেশিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।