করোনায় দেশে একদিনে আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ বেশি
Tweet
দেশে একদিনে করোনাভাইরাসে আরও ৪১ জনের মৃত্যু ঘটেছে; তবে সরকারি হিসাবে এই সময়ে নতুন যত রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার চেয়ে বেশি রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গতকাল বুধবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য জানানো হয়। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানার পাঠানো এই বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৪৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর বিপরীতে রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৯১৩ জন। নতুন শনাক্তদের নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯১ জন। আইইডিসিআরের অনুমিত হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট সেরে ওঠেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের মৃত্যুতে দেশে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ৭৮১ জনে।গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৮.৭২ শতাংশ এবং এ নাগাদ শনাক্তের হার ২০.৪৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৮.১৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৩ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯১টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬৭৮ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৭টি। বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগী সোয়া দুই কোটির কাছাকাছি পৌঁছেছে, তার মধ্যে মারা গেছে পৌনে ৮ লাখের বেশি, প্রায় দেড় কোটি সুস্থ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। এর মধ্যে গত ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় বুলেটিনে, যা এক দিনে সর্বাধিক। গতকাল বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন, নারী ৭ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩৮ জন ও বাড়িতে ৩ জন রোগী মারা গেছেন।মৃত ৪১ জনের মধ্যে ২৪ জনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে। এছাড়া ১১ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২১ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের ও ৩ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এই পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে জানানো হয়, ষাটোর্ধ্ব রোগীদের মৃত্যুর হার ৪৮ দশমিক ০৮ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২৮ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ ও শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। এলাকাভিত্তিক বিশ্লেষণে মৃতের হার ঢাকা বিভাগে ৪৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ, রাজশাহীতে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, খুলনায় ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, ময়মনসিংহে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ, রংপুরে ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, সিলেটে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, বরিশাল বিভাগের মৃতের হার ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ।