চলনবিলে উপচে পড়া ভিড় ভ্রমণ পিপাসুদের
Tweet
এখনই চলনবিলে ঘুরে বেড়ানোর সময়। তাই করোনাকে উপেক্ষা করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সবাই যেন ছুটছে প্রাণের টানে চলনবিলের জলরাশিতে।
সরেজমিনে চলনবিল ঘুরে দেখা গেছে, ঐতিহাসিক চলনবিলের তাড়াশ, সিংড়া, গুরুদাসপুর, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত বিলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পড়ন্ত বিকেলে ভ্রমণ পিপাসু ভিড়।চলনবিলের মনোমুগ্ধকর মিষ্টি বাতাস, মেঘের ছুটে চলা ও পানির ওপর ঢেউয়ের দৃশ্য নজর কেড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের। প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চলনবিলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলেছেন তারা।
এমনকি চলনবিল গর্ভে অবস্থিত গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা বিলে, সিংড়ার ঘাসি দেওয়ান পীরের মাজার ও গুরুদাসপুরের খুবজীপুরের চলনবিল জাদুঘর পরিদর্শন, তাড়াশের কুন্দইল ব্রীজ এলাকায় ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা উৎসাহ উদ্দীপনায় যন্ত্রচালিত নৌকা অথবা স্পীডবোট নিয়ে ভ্রমণ করছেন।
চলনবিল অধ্যুষিত সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুলাহ হেল বাকী জানিয়েছেন, প্রতি বছরেই বর্ষা মৌসুমে চলনবিলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য ছুটে আসেন দুর-দুরান্ত থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এ ছাড়া চলনবিলের বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৯ নং ও ১০নং ব্রীজ এলাকায় বিলের সৌন্দর্য্য অবলীলায় দেখতে ভীড় করছেন দর্শনার্থীরা বলে জানান মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম বুলবুল।
নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় গুমানী নদী থেকে খুবজীপুর-বিলসা হয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায়ে বিলসা বানগঙ্গা নদীতে দৃষ্টিনন্দিত দীর্ঘ ‘মা জননী সেতু’ ও তাড়াশের কুন্দইল বাজার পূর্বপাশে দীর্ঘ ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণের মাধ্যমে মৈত্রী সড়কটি গুরুত্ববহ ইতিহাস রচনা করেছে। বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই হাজার হাজার আঞ্চলিক ও বহিরাগত ভ্রমণ পিপাসু মানুষ মা জননী ও কুন্দইল সেতুতে ভিড় করেন।