মেজর সিনহা হত্যা : ৭ আসামি কারাগারে, ৩ জনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
Tweet
সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জন আসামিকে আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিনহা হত্যা মামলার এই ৭ আসামি আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আতœসর্মপনের পর তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে র্যাবের পক্ষ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত মামলার প্রধান আসামি কামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ২ নং আসামী টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি আসামিদের জেল গেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়।
সিনহা রাশেদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে বুধবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে মামলা দায়ের করেন তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়কে (র্যাব) এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে টেকনাফ থানাকে এই মামলা নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। আদালতের এই আদেশ বুধবার রাত ১০ টার দিকে টেকনাফ থানায় পৌঁছালে মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়।
আজ সকালে চট্টগ্রামের বাসা থেকে মামলার ২ নং আসামী টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে কঠোর প্রহরায় কক্সবাজার নিয়ে আসে র্যাব ও পুলিশের দু’টি টিম। অসুস্থতাজনিতকারণ দেখিয়ে তিনি ছুটি নিয়ে চট্টগ্রামের বাসায় অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে ওসি প্রদীপকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হয়। প্রদীপকে সরাসরি কক্সবাজারের আদালত প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হয়। অন্য ৬ আসামি পুলিশ হেফাজতে বিকালেই আদালতে হাজির হন। এই মামলার এক নম্বর আসামি হচ্ছেন টেকনাফের কামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এএসআই টুটুল এবং কনস্টেবল মো. মোস্তফা।