রাজধানীর যেসব এলাকা ডেঙ্গু ঝুঁকি
Tweet
ডেঙ্গু এডিসবাহিত রোগটিতে গত বছর অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল আর তাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল পুরো দেশে। যদিও এবার সারাদেশে গত বছরের তুলনায় পুরোপুরি বিপরীত চিত্র। তবে এবারও রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের নয়টি আর দক্ষিণের ষোলোটি ওয়ার্ড রয়েছে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে। এর মধ্যে উত্তরের ১৭ আর দক্ষিণের ৫১ নং ওয়ার্ড আছে অতিরিক্ত ঝুঁকিতে। গত বছর আগস্টের এই সময়ে যখন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় লাখের কাছাকাছি ছিল সেই হিসাবে এ বছর সেই সংখ্যা মাত্র ৩৭৮। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
‘ডিসেমিনেশন অন মুনসুন এডিস সার্ভে-২০২০’ নামের জরিপের ফলাফল বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান।
এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতি উন্নতির জন্য সেরোটাইপ পরিবর্তনকে কারণ মানছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আরও বিস্তর গবেষণার তাগিদ তাদের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক জানান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ১০০টি এলাকায় (ডিএনসিসি ৪১টি এবং ডিএসসিসি ৫৯টি), দুই হাজার ৯৯৯টি বাড়িতে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের ভেক্টরের ওপর এই জরিপ কাজ পরিচালিত হয়।
জরিপে বলা হয়েছে, উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার সূচক ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি। এরমধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের ভেতরে রয়েছে ১০, ১১, ১৭, ১৯, ২১, ২৩, ২৪, ২৯, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভেতরে রয়েছে ২, ৪, ৮, ৯, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৮, ২৫, ৩৪, ৪০, ৪১, ৪৫ এবং ৫১ নম্বর ওয়ার্ড।
এদিকে এই জরিপ আমলে নিয়ে অভিযান আরও বেগবানের আশ্বাস সিটি করপোরেশনের।