সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খান চলে গেলেন
Tweet
চলে গেলেন সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খানসাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খান আর নেই। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকায় তাঁর ইস্কাটনের বাসায় ৮১ বছর বয়সে রাহাত খান শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী সাংবাদিক নেহাল আহমেদ। তিনি ৬০-এর দশকে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছিলেন জগন্নাথ কলেজে শিক্ষক হিসাবে। পরে তিনি ১৯৬৯ সালে দৈনিক সংবাদের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় এসেছেন।
ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক থেকে অবসর নিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। এরপর তিনি সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসস-এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।তবে তিনি সাহিত্য নিয়েই বাংলা একেডেমি পুরস্কার এবং একুশ পদক পেয়েছেন।
রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। রাহাত খান বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক। ছোটগল্প ও উপন্যাস উভয় শাখাতেই তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনি ১৯৪০ সালের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। রাহাত খান বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক, সম্পাদক এবং লেখক। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় দৈনিক বর্তমান।
রাহাত খানকে ১৯৯৬ সালে একুশে পদক ও ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ১৯৭২ সালে রাহাত খানের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘অনিশ্চিত লোকালয়’ প্রকাশিত হয়। তার লেখা উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘অমল ধবল চাকরি’, ‘ছায়া দম্পতি’, ‘শহর’, ‘হে শূন্যতা’, ‘হে অনন্তের পাখি’, ‘মধ্য মাঠের খেলোয়াড়’, ‘এক প্রিয়দর্শিনী’, ‘মন্ত্রিসভার পতন’, ‘দুই নারী’, ‘কোলাহল’ ইত্যাদি।