ট্যান রিমুভাল এর যতো কথা
Tweet
রোদে তেতে পুড়ে একেবারে ট্যান পড়ে গেছে ত্বকে? যত্ন নেওয়া কিমবা ঘনঘন পার্লার যাওয়া কোনোটাই হয়ে ওঠেনা সময়াভাবে। অনেকেরই গায়ের রং তেমন ফর্সা নয়, তাঁরা ভাবেন শ্যামলা হলে আলাদা করে ট্যান তোলার দরকার হয় না। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যে যার নিজের স্কিন টোনে সুন্দর। কিন্তু অত্যাধিক রোদ গায়ে লেগে লেগে যে ট্যান পড়ে যায়, তা দূর করলে ত্বকে জেল্লা ফেরে। গায়ের রং তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই নয়। জেল্লা এলে যেকোনো মহিলাকেই উজ্জ্বল লাগে। চিন্তাভাবনা না করে যদি চটপট কাজে লেগে পড়েন, তা হলে দেখবেন সহজেই ঝলমলে ত্বক ফের ফিরে এসেছে। কীভাবে তা সম্ভব, জানতে চান? উপায়গুলি খুব সহজ, দারুণ কাজেরও বটে। তবে খানিকটা সময় লাগবে আর নিয়ম করে ব্যবহার করতে হবে। তা হলেই আপনি আবার ঝলমলিয়ে উঠবেন!
লেবুর রস আর মধুর প্যাক: পাতিলেবুর রস আর মধু এমন পরিমাণে মেশান যাতে বেশ গাঢ় মিশ্রণ তৈরি হয়। মুখে, হাতে-পায়ে এই প্যাক লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। তার পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণে খানিকটা চিনি মিশিয়ে নিলে স্ক্রাবিংয়ের কাজটাও হয়ে যাবে।
শসার রস: রোদে পোড়া ত্বকের পুরোনো ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে শসার রস দারুণ কার্যকর। শসা কুরে রস বের করে নিন, তার পর তুলো দিয়ে লাগান পোড়া আংশে। সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবু প্রাকৃতি ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।
বেসন আর কাঁচা হলুদের মিশ্রণ: বিশেষ করে ভারতীয় কমপ্লেকশনকে উজ্জ্বলতর করে তুলতে হলুদের জুড়ি নেই। কাঁচা হলুদবাটার সঙ্গে বেসন আর দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করুন। দিন সাতেকের মধ্যেই ফারাকটা টের পাবেন।
আলুর রস: আলু কুরে চেপে তা থেকে রস বের করে নিন। তা শসার রসের মতোই ব্যবহার করুন।
মধু আর পাকা পেঁপের প্যাক: পেঁপের এনজ়াইম প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে, মধু জোগায় আর্দ্রতা। প্যাক লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
মনে রাখবেন ট্যান রিমুভ করার পদ্ধতি শুরু করার পর কিন্তু আর রোদ লাগাবেন না। এই সময় ত্বক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। রোদ লাগলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। দরকারে ছাতা, টুপি, স্কার্ফ ব্যবহার করুন। বিনিয়োগ করুন খুব ভালো মানের কোনও সানস্ক্রিন লোশনেও।