গ্রেফতারের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নুরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে’। এর আগে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগেও তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ঢাবি ছাত্রীর করা ধর্ষণের মামলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানেই পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়। এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। তারা যে সমাবেশ করছিল সে সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। সে হামলার ঘটনায় একটা মামলা করা হবে। সে মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ডিবি কার্যালয়ে। এরপর তাকে আদালতে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ এর আগে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাদী শিক্ষার্থী ঢাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন। নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।