ত্বকের যত্নে নারকেল তেল
Tweet
বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলতে গেলে সুন্দর ত্বকই সবচেয়ে সেরা মেকআপ। তাই ত্বক আর একটু উজ্জ্বল করে তুলতে আমাদের চেষ্টার কসুর নেই! যতরকম পোশাকি জিনিসপত্রই ব্যবহার করুন না কেন, ত্বকের যত্নের ব্যাপারে নারকেল তেল যতটা কাজের তার ধারেকাছে আর কিচ্ছু আসতে পারবে না! অবাক হচ্ছেন? আসলে নারকেল তেল আপনার চুলের জন্য যতটা, ত্বকের জন্যও ঠিক ততটাই ভালো! দেখে নিন ঠিক কীভাবে মুখেও ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল!
নারকেল তেল আর দারচিনি, দুইয়েরই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা ব্রণ কমাতে সহায়ক।
দারচিনি গুঁড়ো ব্যবহার করার আগে ত্বকে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া দরকার। দারচিনির কারণে ত্বকে জ্বালা করতে পারে। আপনার ত্বকের সহনক্ষমতা অনুসারে দারচিনির পরিমাণ কমাতে বা বাড়াতে পারেন।নারকেল তেল আর অ্যাভোকাডো আপনার ত্বককে ফ্রি রাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
ত্বক রোদে বিশ্রীভাবে পুড়ে গেলে ব্যবহার করুন নারকেল তেল। রোদে পোড়া ত্বক অসম্ভব শুকনো হয়ে যায়, জ্বালা করে। নারকেল তেল ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে জ্বালাভাব কমায়, ত্বক শীতল করে। রোদ থেকে ফিরে মুখে জলে ভেজানো তোয়ালে চাপা দিয়ে 10 মিনিট রাখুন। ত্বক ঠান্ডা হয়ে গেলে নারকেল তেল মেখে নিন।
আপনার যদি ড্রাই স্কিন হয়, তা হলে নারকেল তেল দিয়ে দিব্যি ক্লেনজ়িংয়ের কাজ সেরে ফেলতে পারেন। মুখটা প্রথমে জল দিয়ে ধুয়ে নিন, তারপর হাতে পরিমাণমতো নারকেল তেল নিয়ে দু’হাতে ঘষে মুখে মেখে নিন। মুখ বেশি রগড়াবেন না। বৃত্তাকারে মাসাজ করুন। কয়েক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন, অথবা হালকা গরমজলে ভেজানো তুলে দিয়ে মুছে নিন। ত্বক পরিষ্কারও হবে, আর্দ্রও থাকবে।
চড়া, এঁটে বসা মেকআপও নারকেল তেল নিমেষে তুলে দিতে পারে। মুখে ভালোভাবে নারকেল তেল মেখে নিন, আপনার মেকআপ কয়েক সেকেন্ডেই গলে যাবে। এবার তুলো দিয়ে মুছে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হলো।