মৌসুমি জ্বর থেকে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে গুড়ের চা

Share on Facebook

ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু ফলে ধীরে ধীরে জাঁকিয়ে বসছে শীত। ঋতু পরিবর্তনে লেগে রয়েছে সর্দি, কাশিসহ হালকা জ্বরের মতো নানা সমস্যা। আবার তার উপর রয়েছে করোনার আতঙ্ক। তার ফলে এই মুহূর্তে শারীরিক সমস্যা দূর করতে নিজেকে রাখতে হবে চাঙ্গা। এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিয়েই যদি সমস্ত রোগকে দূরে রাখা যায়, তবে কেমন হয়? মন্দ হয় না তাই তো? কিন্তু কীভাবে এই বিশেষ ধরনের চা তৈরি করবেন তার প্রণালী আপনার জানা নেই? চিন্তা না করে বরং জেনে নিন গুড় দিয়ে বিশেষ ধরনের চা তৈরির পদ্ধতি।

প্রনালীঃ
প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ জল গরম করুন। এবার তার মধ্যে ৪টি ছোট এলাচ, ১ চামচ মৌরি, আধ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ২ চামচ চা পাতা দিয়ে দিন। সামান্য ফুটতে দিন। এবার অন্য একটি পাত্রে আধ কাপ দুধ গরম করে নিন। ওই মিশ্রণটির মধ্যে ফুটন্ত দুধ ঢেলে দিন। তারপর তা গরম করে নিন। এবার ওই পাত্রের মধ্যে ২ চামচ গুড় দিন। সম্পূর্ণ গুড় মিশে যাওয়ার পর তা নামিয়ে নিন। ব্যস! গুড়ের চা (Jaggery Tea) তৈরি। এবার ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে গরম গরম পরিবেশন করুন।

উপকারিতাঃ
১. গুড়ে রয়েছে আয়রন (Iron)। তাই যাঁরা রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য গুড়ের চা অত্যন্ত উপযোগী।
২. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে শরীরকে তরতাজা করতে সাহায্য করে গুড়। আপনারও তেমন সমস্যা থাকলে গুড়ের চায়ের কাপে একটা চুমুক আপনাকে দিতে পারেন অন্য রকমের তরতাজা অনুভূতি।
৩. আপনার কী অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে? তবে গুড়ের চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে আপনি সেই সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
৪. এছাড়াও গুড়ের চায়ে অন্যান্য উপকরণ আপনার ফুসফুসকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
৫. অবসাদ এবং দুর্বলতা থেকেও আপনাকে মুক্তি দিতে পারে গুড়ের চা।

আপনি যদি সত্যি চা প্রেমী হন, তবে গুড়ের চায়ের কাপে যে চুমুক দিতে ভুলবেন না সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে যাঁরা চা প্রেমী নন তাঁরাও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে একবার অন্তত এই ধরনের চায়ে গলা ভিজিয়ে দেখতেই পারেন। মন্দ লাগবে না।

Leave a Reply