লবঙ্গের যতো অজানা গুনাগুন!
Tweet
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্যই দাঁতের ব্যথায়ও এটি খুব উপকারী। নিয়মিত লবঙ্গ দেওয়া মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মাড়ি সুস্থ থাকে। ব্যাকটিরিয়ার হাত থেকে দাঁত বাঁচায়।
পাকস্থলীর আলসারের নিরাময়ে সংক্রমণ, স্ট্রেস বা জিনগত কারণে পেপটিক আলসার বা স্টমাক আলসারের সমস্যা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গের এসেনশিয়াল অয়েল গ্যাসট্রিক মিউকাসের উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে কাজ করে।
হাড়ের চিকিৎসায় লো-বোন মাস এমন একটি অবস্থা, যা বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গের উপাদান হাড়ের জোর ও বোন ডেনসিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
অনেকে অকারণেই মুখে লবঙ্গ রাখতে পছন্দ করেন। অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে বিষক্রিয়ার ভয় থাকে।
অতিরিক্ত লবঙ্গ রক্ত পাতলা করে দেয়। রক্ততঞ্চনেও অনেক সময়ে বাধা দেয়। হিমোফিলিয়া রোগীদের এ ক্ষেত্রে ভয় বেশি।
যাদের সুগার কমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত লবঙ্গ হাইপোগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।
লবঙ্গ বা লবঙ্গের তেলে অ্যালার্জি হচ্ছে কি না, নজর রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে, আদা, হলুদের মতো লবঙ্গের নানাবিধ ভেষজ গুণ নিয়ে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তাই কোন রোগের নিরাময়ে এর কতটা ব্যবহার করবেন, তা চিকিৎসকের অনুমতি সাপেক্ষ।