জনপ্রিয় হয়ে উঠছে করমজল
Tweet
পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পর্যটকরা। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের অধীনে চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল একমাত্র টুরিস্ট স্পট।
এখানে হাত দিয়ে হরিণ ছোঁয়া যায়, খাবার খাওয়ানো যায়। হাতে বাদাম, কলা নিয়ে উন্মুক্ত বানরকে ডাক দিলে চলে আসে। রৌদ্দোজ্জ্বল ডাঙায় কিংবা জলে ভাসমান বিশাল আকারের কুমির দেখলে শিহরণ জাগে মনে। দেড় কিলোমিটারের কাঠের ট্রেইল ঘুরে সুন্দরবনের সুন্দরী, কাঁকড়া, বাইনসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দেখতে পাওয়া যায়। মাংকি ট্রেইল হিসেবেও পরিচিত আঁকাবাঁকা কাঠের ট্রেইলে চোখে পড়ে বানর। দেশে প্রাকৃতিকভাবে কুমির প্রজননের একমাত্র কেন্দ্র এ করমজল। এখানে কচ্ছপেরও প্রজনন হচ্ছে। করমজলের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে কুমির, বানর, মায়াবি হরিণ, কচ্ছপ, কাঠের ট্রেইল, ওয়াচ টাওয়ার।
ঘুরে দেখা গেছে, পশুর নদের তীরবর্তী এ পর্যটন কেন্দ্রটি পর্যটকরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও নৌকায়। সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। নৌযানের অভাবে পর্যটকদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। সুন্দরবনের করমজলে পর্যটকদের জন্য প্রধান সমস্যা সুপেয় পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তেমন কোনো জায়গা নেই। ভ্রাম্যমাণ কিছু দোকান থাকলেও দাম দ্বিগুণ। কাঠের ট্রেইলটি এখন নড়বড়ে অবস্থা। পর্যটকদের পদচারণায় যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় উন্মুক্ত বানররা প্রায়ই চড়াও হয় পর্যটকদের ওপর। সর্তকতা সাইনবোর্ড থাকলেও অনেক অতিউৎসাহী পর্যটকরা ঝুঁকি নিয়ে ঢুকে পড়ে বনের ভেতরে।
করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘পর্যটকদের বসার জন্য পাঁচটি গোলঘর ও কয়েকটি বেঞ্চ রয়েছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে এসব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বাইরে থেকে আমাদের পানি নিয়ে আসতে হয়। সমস্যার বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’