কাঁঠালের বীজের কতো গুণ!
Tweet
আমাদের জাতীয় ফলটি নিজেই শুধু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ তা নয়, এর বীজেও রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একগাদা উপকরণ। আর এ কথা জানা থাকলে ফল খেয়ে বীজটা কেউ ফেলে দেবেন না নিশ্চয়ই।
কত পুষ্টি এক বীজে!
অল্পখরচে শরীরে পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মৌসুমী ফল কাঁঠালের বীজের ভূমিকা অদ্বিতীয়। প্রোটিন থেকে শুরু করে আছে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়রন ফসফরাস ও ফাইবার। ভাজা, ভর্তা কিংবা মাছ মাংসের তরকারিতে খেলেই হলো। পুষ্টি পৌঁছে যাবে জায়গামতো।
হজমের জন্য
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে বিপাকক্রিয়ায় গতি আনে কাঁঠালের বীজ। প্রচুর ফাইবার থাকায় এ বীজ ডায়রিয়া নিরাময়েও ব্যবহার করা যেতে পারে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
প্রচুর ভিটামিন এ আছে বলে চোখের জন্যও ভালো কাঁঠালের বীজ। চোখ নিয়ে যাদের টেনশন তারা এ মৌসুমে যত্ন করে রাখুন বীজগুলো।
যৌন চিকিৎসা
যুগ যুগ ধরে নানা ধরনের যৌনব্যাধিতে কাঁঠালের বীজের ব্যবহার হয়ে আসছে। এশিয়ার অনেক দেশে প্রচলিত চিকিৎসার একটি অন্যতম উপকরণ এটি। কাঁঠালে থাকা আয়রনও এ কাজে সহায়ক।
পেশী গঠন
উচ্চমানের প্রোটিন সমৃদ্ধ কোলেস্টেরলবিহীন বীজটি ডায়েট চার্টে থাকলে তৈরি হবে পেশীবহুল শরীর। মিলবে ক্যালরিও।
বলিরেখা দূর করতে
বয়েসের ছাপ দূর করতে কাঁঠালের বীজের রয়েছে জাদুকরি গুণ। কাঁঠালের বীজের পেস্টের সঙ্গে ঠান্ডা দুধ মেশানো ফেসপ্যাক দুই সপ্তাহ পরপর মুখে লাগালে অসময়ে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করবে এটি। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে। এতেও ত্বকের সতেজতা বাড়ে।
চুলের যত্নে
চুলের আগা ফাটা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাবারের তালিকায় কাঁঠালের বীজ রাখুন। এতে থাকা ভিটামিন এ, প্রোটিন ও আয়রন চুলের জন্য টনিকের কাজ করে।
রক্ত স্বল্পতায়
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় কাঁঠালের বীজে থাকায় আয়রন। যা অ্যানিমিয়া তথা রক্তাল্পতা সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলার পাশাপাশি হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখে।