ত্বকের সুস্থতায় জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার
Tweet
পুষ্টি-বিজ্ঞানের তথ্যানুসারে বিভিন্ন খনিজের মধ্যে জিঙ্ক শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না পাশাপাশি ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ রুখতেও সাহায্য করে।
যে কারণে বয়স বাড়ার সঙ্গে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা সূর্য রশ্মির কারণে হওয়া ত্বকে ক্ষতি পোষায়, কোষকলার বৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখে।
সম্পুরক হিসেবে জিঙ্ক ট্যাবলেট ছাড়াও প্রাকৃতিক খাবার থেকেও এই খনিজ গ্রহণ করা যায়।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জিঙ্ক সমৃদ্ধ কয়েকটি খাবারের নাম জানানো হল।
ঝিনুক: ঝিনুক জিঙ্কের সবচেয়ে ভালো উৎস। এটা দৈনিক চাহিদার অর্ধেক পূরণ করতে সক্ষম। এটা ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। এছাড়াও ঝিনুক ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ যা ত্বক ভালো রাখে।
মাশরুম: শিটাকে মাশরুম দৈনিক চাহিদার তিন শতাংশ জিঙ্ক সরবারহ করে এবং এটা যেভাবেই রান্না করে খাওয়া হোক না কেনো তা শরীরের জন্য উপকারী।
টক দই: এটা প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস যা জিঙ্ক সমৃদ্ধ। হজম করা সহজ ও প্রোবায়োটিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
বুট/ ছোলা বা মটর: জিঙ্কের ভালো উৎস। এক কাপ সিদ্ধ মটরে দৈনিক চাহিদার ৩০ শতাংশ জিঙ্ক, আঁশ ও প্রোটিন পাওয়া যায়।
কাঁকড়া: যারা সামুদ্রিক খাবার পছন্দ করেন তাদের জিঙ্কের চাহিদা পূরণে কাঁকড়া বেশ উপকারী। এ থেকে প্রায় সাত মি.গ্রা. জিঙ্ক পাওয়া যায়। যা দৈনিক চাহিদার ৮৮ শতাংশ। এই পরিমাণ কাঁকড়ার ধরন ভেদে ভিন্ন হতে পারে।
ওটস: প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যআঁশ ছাড়াও আধা কাপ ওটসে ১.৩ মি.গ্রা. জিঙ্ক পাওয়া যায় যা নারীদের দৈনিক চাহিদার ১৬ শতাংশ পূরণ করে।
কুমড়ার বীজ: এক টেবিল-চামচ কুমড়ার বীজে ২.২ মি.গ্রা. জিঙ্ক থাকে যা প্রাপ্ত বয়স্কের দৈনিক চাহিদার ২৮ শতাংশ। এটা প্রোটিনের ভালো উৎস। ফলে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।