জাপানের সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বের রসনায় জনপ্রিয় হচ্ছে সুশি

Share on Facebook

সুশিকে জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার বলা হলে বাড়িয়ে বলা হবে না। সময়ের সঙ্গে এই সুশি জাপানের সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বের রসনায় গর্বভরে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। সুশি এতটাই আন্তর্জাতিক হয়ে উঠেছে যে অন্যান্য বছরের মতো এবছরেও ১৮ জুন পালন করা হলো আন্তর্জাতিক সুশি দিবস। এবার জেনে নেওয়া যাক সুশি সম্পর্কে কিছু তথ্য।

সুশি শব্দটির ‘মা’ ‘নারেজুশি’। ‘নারেজুশি’ ভাতের ভেতর সংরক্ষিত মাছকে ইঙ্গিত করত। অষ্টম শতকে পূর্ব এশিয়ায় মাছ সংরক্ষণের এক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। তখন তো আর ফ্রিজ ছিল না। মাছটি লবণে মিশিয়ে গাঁজানো (ফার্মেন্টেড) ভাত দিয়ে মুড়ে রাখা হতো। এতে মাছটা নষ্ট হতো না। পরে ভাত ফেলে দিয়ে খাওয়া হতো। এর এক হাজার বছর পর থেকে ভাতসহ মাছটা খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়। তখন সেই খাবারকে আদর করে ডাকা হতো ‘সুশি’। জাপানি ‘সুশি’ অর্থ ‘টক টক’ বা ‘তেতো ভাত’। বিভিন্ন ধরনের সুশির মধ্যে সামুদ্রিক কাঁচা মাছ, আঠালো ভাত আর সয়াসসের যে সুশিটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে, এর নাম ‘ওশি-জুশি’।

বিমানের টিকেট বিক্রির বিজ্ঞাপন

জাপানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ওপর ‘গ্লোবালাইজেশন থ্রু ফুড কালচার: টুওয়ার্ডস আ স্টাডি অব গ্লোবাল ফুড নেটওয়ার্ক’-এর গবেষণার অংশ হিসেবে একটা জরিপ করা হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দশ হাজার পর্যটকদের ওপর জরিপ চালানো হয়। তাঁদের ভেতর ৫ হাজার ৭১ জন জানিয়েছেন, তাঁরা জাপানে ঢুকে একবার হলেও সুশি চেখে দেখেছেন। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি পর্যটক সুশি খান। এটা ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিজওয়াটার স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ওয়াল্টার ক্যারলের অধীনে পরিচালিত একটি গবেষণা। সময়ের সঙ্গে সুশিপ্রেমীদের সংখ্যা বেড়েছে বৈ কমেনি! রাজধানী ঢাকাতেই সুশিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একাধিক রেস্তোরাঁ। সেখানে সন্ধ্যা নামলেই জমছে আড্ডা।

শুধু জাপানে নয়, বাংলাদেশেও বেড়ে চলেছে সুশির কদর। ঢাকায় অনেক রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় সুশি। দেশের মানুষের রুচি অনুসারে বাংলাদেশে যে সুশি পাওয়া যায়, সেখানে এসেছে কিছু পরিবর্তন। অনেক দেশি উপাদান যোগ হয়েছে সুশিতে। দেশি সুশির ভেতরে ভাজা মাছ বা চিকেনও পাওয়া যায়। বিস্কুটের মতো সেদ্ধ সুশির পিসগুলো আবার ডিম আর বিস্কুটের গুঁড়াতে কোট করে ভাজাও হয়। সেটাকে বলা যেতে পারে ‘সুশির বাংলাদেশি ভার্সন’।

Leave a Reply