ভাতের মাড়ের নানাবিধ উপকারিতা
Tweet
ডায়েটের চাপে ভাতের গন্ধ ভুলতে বসেছোন অনেকেই। ভাতের নাম শুনলেই দূর থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু ছোটবেলায় খাওয়া ফেনা ভাতের গন্ধ কিন্তু আজও লেগে রয়েছে বাঙালির নাকে, তা হলফ করে বলাই যায়! ভাত আর মাছেই বাঙালির বেড়ে ওঠা। ফলে ভাতের গন্ধ থেকে বাঙালিকে দূরে সরিয়ে রাখা কিন্তু বেশ কঠিন। স্কুলে যাওয়ার সময় গরম ফেনা ভাত ঘি দিয়ে খাননি এমন বাঙালির সংখ্যা হাতে গুণে বলা যায়। এছাড়াও ভাতের এই মাড়ের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। যাঁরা অপুষ্টিতে ভোগেন তাঁদের নুন দিয়ে ভাতের ফ্যান খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। যাঁরা দীর্ঘদিন জটিল রোগে ভুগছেন তাঁদেরও ফেনা ভাত খেতে বলা হয়। এছাড়াও বাড়ন্ত বাচ্চাদের হেলথ ড্রিংকের বদলে ফেনা ভাত মাখন কিংবা ঘি দিয়ে খাওয়াতে পারলে অনেক ভালো। এতে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টিও পায়, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তবে সুগার রোগীদের কিন্তু এই মাড় সমেত ভাত খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এই মাড়ে যে স্টার্চ থাকে তা রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ভাতের ফেনের রয়েছে হাজারো উপকারিতা।
ত্বকের কোনও রকম সমস্যায়
স্নানের জলে ভাতের মাড় মিশিয়ে স্নান করলে ত্বকের জ্বালাভাব জলে যায়। এমনকী কোনও রকম ফুসকুড়ি, চুলকানি ইত্যাদিও হয় না। এছাড়াও কোনও ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমণে বাধা দেয় ভাতের মাড়। এমনকী বেশ কিছুদিন স্নান করলে ত্বক বেশ ঝকঝকে থাকে।
ব্রণ ফুসকুড়ি
কিছুতেই ব্রণর সমস্যা মিটছে না? মুখে দাগ থেকে যাচ্ছে? এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবহার করুন ভাতের মাড়। ভাতের মাড় ঠাণ্ডা করে তুলো দিয়ে ত্বকের ব্রণ হওয়া অংশে লাগান। দিনে অন্তত ২-৩ বার এইভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ব্রণ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে। সেই সঙ্গে মুখের অতিরিক্ত তেলও শুষে নেয়।
খসখসে ত্বকের জন্য
ত্বকের পোড়া কালচে ভাব বাড়ছে? ত্বক শুকনো হয়ে যাচ্ছে? ভাতের মাড় ঠান্ডা করে লাগালে কিন্তু উপকার পাবেন। এছাড়ও মাড় দিয়ে পায়ের তলা ঘষুন। গোড়ালিতে লাগান। গোড়ালিও থাকবে নরম তুলতুলে। ভাতের মাড় মুখে লাগালে বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রভাব। সেই সঙ্গে পড়বে না দাগ ছোপ।
চুলে কন্ডিশনার হিসেবে
ভাতের মাড় ঠান্ডা করে একমগ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার শাম্পু করে চুল মুছে ওই মাড় চুলে ঢালুন। মিনিট তিন রেখে আবার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল ভালো থাকবে। চুলের গোড়া ফাটবে না। সেই সঙ্গে বজায় থাকবে শাইনি ভাব।
পেটের সমস্যায়
প্রাচীন গ্রন্থে ভাতের মাড়ের অনেক উপকারিতার উল্লেখ রয়েছে। সেখানেই বলা রয়েছে পেট ঠিক রাখতে ভাতের মাড় খেতেন মুনি ঋষিরা। এছাড়াও ভাতের মাড়ে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ, ভিটামিন ই হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও পেট ঠিক রাখে। পেট ঠিক থাকা মানেই গ্যায়, অম্বলের সমস্যা হবে না। কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হবে।