অলিম্পিকে সোনা জয়ী ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলো
Tweet
জনসংখ্যা ৬২ হাজার, অলিম্পিকে অ্যাথলেট ২ জন, সেই বারমুডাও জিতল অলিম্পিক সোনা।
ছোট্ট একটা দ্বীপদেশ—বারমুডা। জনসংখ্যা সাকল্যে ৬২ হাজার। সেই ছোট্ট দেশই কিনা টোকিও অলিম্পিকে জিতে নিল সোনার পদক! গতকাল নারীদের ট্রায়াথলনে ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে বারমুডাকে সোনার গৌরব এনে দিয়েছেন নারী ট্রায়াথলেট ফ্লোরা ডাফি। অলিম্পিকের ইতিহাসে ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হিসেবে বারমুডার সোনা জয়ের এ অর্জন ইতিহাসকে হাতের মুঠোয় নিয়ে নেওয়ার মতোই।
এবারের টোকিও অলিম্পিকে বারমুডা কয়জন অ্যাথলেট পাঠিয়েছে জানেন? মাত্র দুজন। তাঁদের একজনই জিতলেন সোনার পদক। ট্রায়াথলনে ডাফির পাশাপাশি অলিম্পিকে বারমুডার প্রতিনিধি হয়ে রোয়িংয়ে অংশ নিচ্ছেন ডারা এলিজাবেথ।
এর আগে বেশ কিছু ক্ষুদ্র রাষ্ট্র অলিম্পিকে সোনার পদক জিতেছে। সেই দেশগুলোর মধ্যেও বারমুডার জনসংখ্যা সবচেয়ে কম। আয়তনেও ক্ষুদ্র দেশগুলোর মধ্যেও ক্ষুদ্রতম তারা।
অলিম্পিকে সোনা জেতা ক্ষুদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে আছে লুক্সেমবার্গ, সুরিনাম, বাহামাস ও গ্রানাডা। ৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৭ জনসংখ্যার লুক্সেমবার্গ ১৯৫২ সালে ছেলেদের ১৫০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছিল। ৬ লাখ জনসংখ্যা–অধ্যুষিত লাতিন দেশ সুরিনাম সাঁতারে সোনা জিতেছিল ১৯৮৮ অলিম্পিকে। ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ বাহামাস ১৯৬৪ সালে সোনা জিতেছিল সেইলিংয়ে, দেশটির জনসংখ্য ৩ লাখের সামান্য বেশি। আর ২০১২ সালে ক্যারিবীয় অঞ্চলের আরেক দেশ গ্রানাডা ছেলেদের ৪০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছিল। তাদের জনসংখ্যা এক লাখের একটু বেশি।
বারমুডার জনসংখ্যা এক লাখের অনেক নিচে। বারমুডার চেয়েও অর্ধেক জনসংখ্যার দেশ লিখটেনস্টাইনও ‘অলিম্পিকে’ সোনা জিতেছে। তবে সেটি শীতকালীন অলিম্পিকে। ১৯৮০ সালে লেক প্লাসিডে ৩৮ হাজারের সামান্য বেশি জনসংখ্যার এই দেশ আলপাইন স্কিয়িংয়ে সোনা জিতে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।
১৯৭৬ সালের মন্ট্রিল অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছিল বারমুডা। সেবারই পদকের সাফল্য পেয়েছিল তারা। বক্সার ক্ল্যারেন্স হিল জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ।
ডাফি কাল ট্রায়াথলনে সোনা জিতেছেন অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে। চোটের সঙ্গে লড়াই করে। কেবল চোট থাকলেও হতো, ডাফি রক্তশূন্যতারও রোগী। ২০১৩ সালে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে চলছে চিকিৎসা। সেই তিনিই কিনা অলিম্পিকে সোনা জিতে দেখালেন!
বারমুডাকে গৌরব উপহার দিয়ে দারুণ তৃপ্ত ডাফি, ‘মুহূর্তটা দারুণ স্মরণীয় আমার চেয়েও অনেক বড়। দারুণ গৌরবের। অলিম্পিকে সোনা জিতে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করেছি। তবে সবচেয়ে বড় তৃপ্তির জায়গা, আমি বারমুডার জন্য নিয়ে যাচ্ছি অলিম্পিকে প্রথম সোনার পদক। এ অনুভূতি আসলেই দুর্দান্ত।’