পর্যটন প্রেমিক ড. ফয়সল
Tweet
ডা. মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক ফয়সল
জেনারেল, ল্যাপারস্কপিক, কোলোরেক্টাল ও ব্রেস্ট( স্তন) সার্জারী বিশেষজ্ঞ। জন্ম ও বেড়ে উঠা কুমিল্লা শহরে। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা।
তিনি কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও নটরডেম কলেজ থেকে এইসএসসি কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান এন্ড সার্জন (বিসিপিএস) হতে সার্জারীতে উচ্চতর ফেলোশিপ এফসিপিএস ( সার্জারী) ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১০ সালে ড. ফয়সল প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে কনসালটেন্ট সার্জারী হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, কুমিল্লা’য় কর্মরত আছেন। পেশাগত উৎকর্ষতা সাধন ও নিজেকে সমৃদ্ধ করতে তিনি স্তন ও কোলোরেক্টাল সার্জারীতে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে প্লাস্টিক ও ক্যান্সার সার্জারীতে প্রতিনিয়ত দক্ষতার ছাপ রেখে যাচ্ছেন।
ড. ফয়সল কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র নজরুল এভিনিউ, কান্দির পাড়ে অবস্থিত গোমতী হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড’এ নিয়মিত চেম্বার করছেন। সার্জারী বিষয়ক যেকোন সমস্যার সর্বোত্তম সেবা প্রদানে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ।
বন্ধুমহলে ড. ফয়সল একজন পরোপকারী বন্ধু হিসেবে পরিচিত। সার্জারী বিষয়ক যেকোন প্রয়োজনে করোনা কালীন সময়েও নিরলসভাবে কাজ করতে দ্বিধাবোধ করেন না। উনার সহধর্মিণীও একজন ডেন্টাল সার্জন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।
চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন জনহিতকর কাজের সাথে উনি নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। সময় সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন আর বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘুরতে খুব পছন্দ করেন। পাহাড় আর সমুদ্রের প্রতি তাঁর অপরিসীম দূর্বলতা। শত ব্যস্ততার মাঝেও ফুটবল খেলাকে প্রচন্ড উপভোগ করেন।
অবসর সময়ে বাগান করা তাঁর অন্যতম শখ। ছাদবাগানে রয়েছে নানা প্রজাতির মনোমুগ্ধকর ফুল ও ফল গাছের সমারোহ। তিনি পর্যটন শিল্পের প্রসার আর পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করেন। করোনা উত্তর সময়ে দেশের পর্যটন একদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সারা বছরই বাংলাদেশে পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে তিনি বিশ্বাস রাখেন।
একজন প্র্যাকটিসিং মুসলমান হিসেবে ডা. মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক ফয়সল সবার দোয়া প্রার্থী। আমরা পর্যটনিয়া পরিবার তার সর্বাঙ্গীণ উন্নতি আর মঙ্গল কামনা করছি।