স্টেক তৈরির রেসিপি

Share on Facebook

স্টেক তৈরি তুলনামূলক সহজ হলেও এর স্বাদ নির্ভর করে বেশ কিছু খুঁটিনাটির ওপর।

যা খেয়াল রাখতে হবে
স্টেকের টুকরোটি যেন সুন্দর করে কাটা হয়। কোথাও পাতলা ও কোথাও পুরু থেকে গেলে সব দিক সমানভাবে রান্না হবে না।

ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পর স্টেকটি প্যাট ড্রাই করে নিতে হবে। এর মানে হলো স্টেকের উপরে ও নিচে কিচেন টাওয়েল দিয়ে চেপে চেপে পানি শুষে নিতে হবে।

স্টেকটি মেরিনেট করার আগে কিছুক্ষণ তেল মেখে রেখে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার করলে স্টেকটি কিছুটা নরম হবে, যোগ হবে বাড়তি ফ্লেভার।

স্টেক ভাজায় কাস্ট আয়রন তথা ঢালাই লোহার তাওয়া ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো। এ ধরনের তাওয়া তাপ ধরে রাখতে পারে বেশিক্ষণ এবং তাপ চারদিকে সমানভাবে ছড়ায়। লোহার তাওয়া না পেলে নন স্টিক প্যানও ব্যবহার করা যাবে।

সিজনিং
অনেকে কেবল কালো গোলমরিচের গুঁড়ো আর লবণ ছিটিয়ে সিজনিং করে নেন। আবার কেউ এর সঙ্গে জিরা কিংবা থাইমও ছিটিয়ে দেন। আবার এ অঞ্চলের স্বাদ পেতে চাইলে খানিকটা আদা ও রসুনবাটাও মাখিয়ে নিতে পারেন সিজনিংয়ের জন্য। আর যদি গার্লিক সস থাকে তো সেটাও মেখে নিতে পারেন মেরিনেট করার আগে।

মেরিনেট হওয়ার জন্য একটি জিপলক ব্যাগে ৮ ঘণ্টা রেখে দিন ফ্রিজে।

রান্না
প্রথম নিয়ম হলো কিছুতেই বরফশীতল স্টেক সরাসরি তাওয়ায় দেওয়া যাবে না। এতে তাওয়ার তাপ সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে। রান্নার আগে স্টেকটাকে রুম টেম্পারেচারে নিয়ে আসুন।

পাত্রটিকে আগে প্রি-হিট মানে গরম করে নিতেই হবে। এরপর খানিকটা তেল মেখে নিতে হবে তাতে। তেলটাও গরম হলে তারপর তাতে ছেড়ে দিতে হবে স্টেক ও এক টুকরো মাখন। বাড়তি স্বাদ যোগ করতে সঙ্গে কয়েকটি থেঁতলানো রসুনের কোয়া দিন। স্টেক যদি খানিকটা পুরু হয় তবে চুলার আঁচ কমিয়ে দীর্ঘক্ষণ ভাজতে হবে।

খেয়াল রাখতে হবে স্টেকটা যেন পাত্রের মাঝ বরাবর থাকে।

মাঝে মাঝে চামচ দিয়ে গলে যাওয়া বাটার নিয়ে স্টেকের উপরের দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।

স্টেক দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ওল্টাতে যাবেন না। অন্তত একপাশ দুই মিনিট ভাজুন। দুপাশেই সমান সময় নিয়ে ভাজতে হবে।

স্টেক হয়ে আসার পর সঙ্গে যদি কিচেন থার্মোমিটার থাকে তবে স্টেকের ভেতরের তাপমাত্রা মেপে দেখুন। স্টেকের ঠিক মাঝে যদি ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখা যায় তবে তা খাওয়ার উপযুক্ত। অথবা আপনার নাকই বলে দেবে রান্না হয়েছে কিনা।

Leave a Reply