ওজন কমাতে ডায়েটে রাখুন ভেষজ চা
Tweet
ওজন কমাতে ৭০ শতাংশ ভূমিকা রয়েছে ডায়েটের এবং ৩০ শতাংশ শরীরচর্চার। চাই এই ডায়েটেই এবার থেকে যোগ করে নিন ভেষজ চা।
লকডাউনে বেশ কয়েকদিন অনেকেরই বাড়িতে বসে কেটেছে। কেউ কেউ আবার জিম বন্ধ থাকায় আলিস্য়ের কারণে বন্ধ করে দিয়েছিলেন শরীরচর্চা। ফলে ওজন খানিকটা হলেও বেড়েছে অনেকেরই। এখন আগের ছিপছিপে চেহারা ফিরে পেতে ব্যায়াম করা যতটা প্রয়োজন, ঠিক তেমনই তার সঙ্গে সঠিক ডায়েটও প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলেন, ওজন কমাতে ৭০ শতাংশ ভূমিকা রয়েছে ডায়েটের এবং ৩০ শতাংশ শরীরচর্চার।
ডায়েটে ভেষজ চা রাখতে পারেন। আপনার শরীরের মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়াটি আরও ত্বরান্বিত করে, যার জন্য তাড়াতাড়ি ওজন কমে। অনেক রোগ-ব্যাধিও ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। এছাড়া ভেষজ চা আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিনকে বের করে দেয়। ফলে ভালো থাকে ত্বকও।
দারচিনি চাঃ
বাঙালির বাড়িতে এই মশলাটা মজুত থাকেই। আর খুব সহজেই এটি দিয়ে ভেষজ চা বানিয়ে ফেলা সম্ভব। দারচিনি দিয়ে তৈরি চা নিয়মিত খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে, যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এতে থাকা নান উপকারী উপাদানের কারণে যে কোনও ধরনের ব্যথা, বিশেষ করে পিরিয়ডের ব্যথা কমে নিমেষেই। এক কাপ জল ফুটিয়ে নিয়ে তাতে চামচ তিনেক চারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খান। সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিলে আরও উপকার মিলবে।
ক্যামোমিল চাঃ
সামনেই কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান রয়েছে? তার আগে কমিয়ে নিতে চান ওজন? তাহলে দিনে বার কয়েক ক্যামোমিল চায়ে চুমুক মারতে ভুলবেন না! একাধিক গবেষণায় দেখে গিয়েছে, এই পানীয়ে রয়েছে অ্য়ান্টি-ওবেসিটি উপাদান, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ কার্যকর। সেই সঙ্গে ক্যামোমিল চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সহ নানা উপকারী যৌগের গুণে অবসাদ-উদ্বেগ কম, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়। ফুটন্ত জলে কম করে চামচ দুয়েক ক্যামোমিল পাতা মেশাবেন। তারপর ছেঁকে নিয়ে গরম গরম পান করলেই হবে।
পুদিনা চাঃ
এক কাপ জলে খান দশেক পুদিনা পাতা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই জলটা পান করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেতে এই জল পান করতে পারেন। পাতা ফেলে নিয়ে অল্প গরম করে লেবু আর মধু মিশিয়েও এই চা পান করতে পারেন। পুদিনা পাতায় মজুত একাধিক উপাদান প্রদাহের মাত্রা কমায়। যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। সঙ্গে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও শরীরকে জলদি অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচায়।