চুলের আগা ফেটে যাওয়া সমস্যার ঘরোয়া সমাধান

Share on Facebook

চুলের আগা ফাটা সমস্যা বার বার ফিরে আসে। তবে সমাধানও রয়েছে হাতের কাছেই।

চুলের পুষ্টি হারালে আগা ফাটা সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া চুল দেখতেও লাগে মলিন ও শুষ্ক। তবে এই সমস্যা সমাধান করার বেশ কয়েকটি প্রচলিত প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি রয়েছে।

‘টাইমস অব ইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এরকমই কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হল।

দই ও জলপাইয়ের তেলের মাস্ক

জলপাইয়ের তেল ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও ক্ষয় কমায়। দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ও চুল সুস্থ রাখে।

আধা কাপ দইয়ের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে চুলের ব্যবহার করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষার পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

ডিমের কুসুম ও মধুর মাস্ক

মধু প্রাকৃতিকভাবেই চুলের শুষ্কতা কমায় ও মসৃণভাব আনে। ডিম অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা আগা ফাটার সমস্যার কমায়। এই দুই উপাদান একসঙ্গে ব্যবহারে চুল মসৃণ, উজ্জ্বল ও শক্ত করতে সহায়তা করে।

ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহারের এক ঘণ্টা পর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

নারিকেল তেল ব্যবহার

চুলের যত্নে নারিকেল তেল সেরা। আধা কাপ নারিকেল তেল ১৫ সেকেন্ড মাইক্রোওয়েভে গরম করে শুকনা চুলে আগা থেকে গড়া পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে।

এরপর একটা তোয়ালে বা ‘শাওয়ার ক্যাপ’ দিয়ে মাথা ও চুল ৩০ মিনিট পেঁচিয়ে রেখে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার

এই ভিনিগার দিয়ে চুল ধুলে চুল হয় মসৃণ ও কোমল। এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড চুলের ময়লা দূর করতে পারে। পাশাপাশি বাড়তি উজ্জ্বলতা যোগ হয়।

এক কাপ ফুটানো পানি ঠাণ্ডা করে দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে শ্যাম্পুর পর তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

এই মিশ্রণটি চুলে বসার জন্য এক মিনিট অপেক্ষা করার পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

Leave a Reply